থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

নারাথিওয়াত প্রদেশে থাই উদ্ধারকর্মীরা বন্যাকবলিত মানুষদের খাবার দিচ্ছেন (৩ ডিসেম্বর, ২০২৪)

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হয়েছে।

দক্ষিণের পাঁচ প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এগুলো হল পাততানি, নারাথিওয়াত, সোংখলা, নাখন সি থাম্মারাত ও ফাতহালুং। থাইল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, এসব এলাকা থেকে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ নিজ বাড়ি ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা ছিল ২৫, যা এখন বেড়ে ২৯ হয়েছে।

মুখপাত্র আরও জানান, আক্রান্তদের সহায়তা ও যত্ন দিতে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।

থাই আবহাওয়া বিভাগ বুধবার সকালে হুশিয়ার করেছে, দক্ষিণ সাগর থেকে একটি নিম্নচাপ মালয়েশিয়া ও আন্দামান সাগর হয়ে থাইল্যান্ডের দিকে আগাচ্ছে। এর ফলে ভারী বৃষ্টিপাত ও থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে আরও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খনিজ সম্পদ বিভাগও সতর্ক করেছে, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকার বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করেছে এবং প্রতিটি প্রদেশের জন্য ১৫ লাখ ডলার করে বন্যা ত্রাণ তহবিল বরাদ্দ করেছে।

মঙ্গলবার থাই মন্ত্রিসভা বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ২৬০ ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে।

প্রতি বছরই থাইল্যান্ডে মৌসুমি বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈরি আবহাওয়া আরও তীব্র হয়েছে। যার ফলে ধ্বংসাত্মক বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।