গাজার কেন্দ্রে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা

গাজা ভূখণ্ডের দেইর আল-বালাহ এলাকায় রাতভর হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তুপ নিরীক্ষা করছেন ফিলিস্তিনিরা (৪ ডিসেম্বর, ২০২৪)

ফিলিস্তিনি চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন বুধবার গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমানহামলায় অন্তত পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বুধবার ইসরায়েলি অবৈধ অধিগ্রহণকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালানোর পর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, সহিংসতার ঘটনার মধ্যে রয়েছে বেইত ফুরিক গ্রামে বসতিস্থাপনকারীদের হামলা। তারা পাথর ছুঁড়ে মেরে দুই সীমান্ত পুলিশকে আহত করেন।

অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে বিমানহামলা চালিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির শুরুর এক সপ্তাহ পর এলো এই হামলা।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দুই পক্ষের সীমান্ত এলাকা থেকে নিজ নিজ যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা রয়েছে। লেবাননের সরকারি সেনা ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বাফার জোন বজায় রাখবেন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে ইসরায়েল ও লেবানন-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সফল হওয়ায় গাজার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে গতিবেগের সঞ্চার হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েক মাস ধরে গাজার সংঘাত বন্ধের জন্য আলোচনা চললেও এখনো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

২০২৩ সালের হামলায় হামাস এক হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা ও আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করার মাধ্যমে গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। এখনো গাজায় ১০০ জিম্মি রয়েছেন, যাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল ৪৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।