ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে জানিয়েছেন, তিন উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ 'ক্লোজড' করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "এই ঘটনায় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আগরতলা হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের 'সহিংস বিক্ষোভ ও হামলায়' 'গভীর ক্ষোভ' প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে এই 'জঘন্য হামলা' এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ২৮ নভেম্বরে কলকাতায় অনুরূপ সহিংস বিক্ষোভের মতই ছিল।"
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, "আগরতলার এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক মিশনের আইনের লঙ্ঘন। একইভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১- এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।"
ভারত সরকার পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশে তাদের উপসহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরণের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনার সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনের ভিসা-কনস্যুলার সেবা স্থগিত
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রথম সচিব মো. আল আমিনের সই করা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলা হচ্ছে প্রজ্ঞাপনে।