বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
আওয়ামী লীগকে কি নিষিদ্ধ করা উচিৎ না রাজনীতি করতে দেয়া উচিত, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার জরিপে এক প্রশ্নের উত্তরে উত্তরদাতারা এমন মতামত দিয়েছেন।
উত্তরদাতাদের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ এ ব্যাপারে জানেন না বলেছেন আর ২ দশমিক ৬ শতাংশ এ প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।
অন্য উত্তরদাতাদের তুলনায় ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী তরুণ উত্তরদাতারা (৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে বেশি সংখ্যায় মত দিয়েছেন। অন্যদিকে ৩৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী উত্তরদাতাদের ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে।
ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে, বাংলাদেশে দেশব্যাপী এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ অগাস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অগাস্টের ৮ তারিখ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ বিষয়ে অক্টোবরের ১৩ থেকে ২৭ তারিখ, ভয়েস অফ আমেরিকা দেশব্যাপী একটি জরিপ করে।
জরিপটি ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার এডিটোরিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করে গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। ভয়েস অফ আমেরিকার ঠিক করে দেয়া সুনির্দিষ্ট (ক্লোজ এন্ড) প্রশ্নমালার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার এসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউইং এর মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগে ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন
ভিওএ বাংলা জরিপঃ কী পদ্ধতিতে জরিপ করা হয়েছেএখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন জরিপটিতে মার্জিন অফ এরর ৩.১ শতাংশ। জরিপটির উত্তরদাতারা প্রায় একমাস আগে যেহেতু তাদের মতামত জানিয়েছেন তাই এখন জরিপটি করলে এর ফলাফল অনেকক্ষেত্রেই ভিন্ন হতে পারে।
এই জরিপের ফলাফল নিয়ে কয়েকদিন ধরে কয়েক পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ভয়েস অফ আমেরিকা। জরিপের ফলাফল নিয়ে এটি দ্বিতীয় পর্ব।
আওয়ামী লীগের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চান নিষিদ্ধ করার পক্ষের ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে কতদিনের জন্য করা উচিৎ? এমন প্রশ্নের জবাবে যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন সেসব উত্তরদাতাদের অর্ধেকের বেশি, ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
নিষিদ্ধের পক্ষে মত দেয়া উত্তরদাতাদের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ দেখতে চান আওয়ামী লীগকে ১০ বছরের বেশি সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর ৫ থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেখতে চান ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে মত দেয়া উত্তরদাতাদের ১১ দশমিক ২ শতাংশ চান ১ থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ আর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বলেছেন তারা ১ বছরের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে।
এ ব্যাপারে উত্তর দিতে চাননি ১ দশমিক ৮ ও জানেন না বলেছেন ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
তরুণ উত্তরদাতাদের (১৮ থেকে ৩৪) ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৩৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ৬০ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা আওয়ামী লীগকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ২ ও পুরুষদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা চান আওয়ামী লীগকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে দেয়া হোক। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন গ্রামীণ উত্তরদাতাদের ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ ও শহরের উত্তরদাতাদের ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন তরুণ উত্তরদাতাদের (১৮ থেকে ৩৪) ৩৯ দশমিক ৯ এবং ৩৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী উত্তরদাতাদের ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। শহরের উত্তরদাতাদের ৩৮ দশমিক ২ এবং গ্রামীণ উত্তরদাতাদের ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চান। নারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চান ৩৮ দশমিক ৭ ও পুরুষদের মধ্যে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ, ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ তাদের রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে
ওদিকে আওয়ামী লীগের নেতাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কি নিষিদ্ধ করা উচিৎ না রাজনীতি করতে দেয়া উচিৎ, এমন প্রশ্নের জবাবে, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা, যদিও প্রায় সমান সংখ্যক ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ তাদের রাজনীতি করে যেতে দেয়া ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার পক্ষে।
৪ দশমিক ২ শতাংশ, এ ব্যাপারে জানেন না আর ৩ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা, এ বিষয়ে উত্তর দিতে রাজি হননি।
বয়স্ক উত্তরদাতাদের তুলনায় তরুণরা আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধের পক্ষে বেশি সংখ্যায় মত দিয়েছেন। ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী উত্তরদাতাদের ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ও ৩৫ ও তার চেয়ে বেশি বয়সী উত্তরদাদের ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে।
শহরের উত্তরদাতাদের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ, গ্রামীণ উত্তরদাতাদের ৪৬ দশমিক ২, পুরুষদের ৪৪ দশমিক দশমিক ৪, নারীদের ৪৯ দশমিক ৩, তরুণদের (১৮ থেকে ৩৪) ৫২ দশমিক ১ এবং ৩৫-এর উর্ধ্বে উত্তরদাতাদের ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
নেতাদের নিষিদ্ধ করা হলে কতদিনের জন্য?
যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে সেসব উত্তরদাতাদের ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ চান আওয়ামী লীগ নেতাদের স্থায়ীভাবে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হোক।
দশ বছরের বেশি নিষিদ্ধ চান ১১ দশমিক ২ শতাংশ, ৫ থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধ চান ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, ১ থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ চান ১২ দশমিক ২ শতাংশ আর ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ চান ৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
এক বছরের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নিষিদ্ধ দেখতে চান ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেছেন ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং উত্তর দিতে চাননি শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি করতে দেয়া উচিৎ মত দেয়া উত্তরদাতাদের মধ্যে তরুণ উত্তরদাতাদের (১৮ থেকে ৩৪) ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ ও ৩৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি করে যেতে দেয়ার পক্ষে। পুরুষ উত্তরদাতাদের ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ আর নারীদের ৫২ দশমিক ২ শতাংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি করে যেতে দেয়ার পক্ষে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৮ নভেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, "এটা ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে, বলেছে সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং তারা ইতিমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করব না।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১ অক্টোবর বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আওয়ামী লীগকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া বা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, কারণ উভয় কর্মকাণ্ডই গণতান্ত্রিক চর্চাকে দুর্বল করবে।"
তবে, আওয়ামী লীগকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়ার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার 'দ্য হিন্দু'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পরে ২০ নভেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার অবস্থান পরিবর্তন করে বলেন, "আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই- এমনটা বলিনি। গণমাধ্যমে বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচন করবে কি করবে না- তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে, আর কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছুই না।"
জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে ২২ নভেম্বর মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, "তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে। তবে কোনো দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত।"
এদিকে খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার শাস্তি মূলক যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল তা বাদ দিয়েই "আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন করা হয় গত ২০ নভেম্বর।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়, সমাজে যদি নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে তাহলে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, দ্য পলিটিকাল পার্টিজ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৮ ইত্যাদি আইনের আওতায় তা করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত ২১ নভেম্বরের এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য বলেন, "সবাই ন্যায্য বিচার পাবে। হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার পরই আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তখন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে অন্য কারো মতো তাদেরও কোনো বাধা থাকবে না। আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করব।"
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে ২৮ অক্টোবর আদালতে রিট করা হয়।
পরের দিন, ২৯ অক্টোবর রিটটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, রিটকারীরা আর এটি চালাতে চান না।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম।
যুক্তরাজ্যের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরকালে গত ১৭ নভেম্বর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব দলের সমান অংশগ্রহণ আশা করে যুক্তরাজ্য।
১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, "আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বক্তব্যে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।"
৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর, ১০ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ঢাকায় একটি কর্মসূচির ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সেই কর্মসূচিকে প্রতিহত করে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ বিষয়ে ১২ নভেম্বর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, "আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত ও বিরোধীমতসহ সবার মতামতকে সমর্থন করি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এসব স্বাধীনতা যেকোনো গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।"
দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশির জন্য এ ধরনের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর চ্যানেল ২৪ নামের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি প্রসঙ্গে বলেন, "তারা গণহত্যা করেছে। এ জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে মাঠে থাকার অধিকার বা সুযোগ নেই।"