নির্বাচনের তারিখ শুধু প্রধান উপদেষ্টাই ঘোষণা করতে পারেন, জানালো তাঁর প্রেস উইং

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। রবিবার (২৪ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং-এ তারা জানায়, নির্বাচনের কোনও তারিখ দেয়া হয়নি।

"নির্বাচন নিয়ে বাকিরা যাঁরা কথা বলছেন, সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত," বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

এর আগে ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।

গত ৫ অগাস্ট ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার একদিন পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে দেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে ছয়টি খাতে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবার পর নির্বাচন ডাকা হবে।

নতুন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি, যার নেতৃত্বে আছে ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। রবিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটি বলছে, ‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত আইনের অধীনে গঠিত' এই কমিশন মানবেন না তারা।

এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টার অপর এক উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, "প্রত্যেকে তাঁর মতামত দিতে পারেন। কিন্তু সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সম্পূর্ণ আইন মেনে।"

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা নিয়মিত নিজেদের বক্তব্যে সরকারকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করছে। সেই প্রেক্ষিতে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলেই নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে।