ইউক্রেনে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া, বলছে কিয়েভ

ইউক্রেনের ডিনিপ্রোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলাস্থলে উদ্ধার কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। ফটোঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪। (ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রেস সার্ভিস/ রয়টার্স মারফত হ্যান্ডআউট ছবি)

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, রুশ বাহিনী তাদের দেশের দিকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই দাবি যদি সত্য হয় তাহলে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এমন অস্ত্রের ব্যবহার এই প্রথম। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া হামলা শুরু করেছিল।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, রাশিয়ার আস্ত্রাখান অঞ্চল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং এটি একাধিক বৃহত্তর হামলার অংশ; যার মধ্যে রয়েছে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।

ইউক্রেনের বিবৃতি নিয়ে রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।

রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়ার কয়েক দিন পরেই পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার আইসিবিএম মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আকাশপথে রুশ হামলার ফলে ডিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের এক শিল্পাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ডিপ্রোপেট্রোভস্কের গভর্নর সেরহি লাইসাক বলেছেন, ডিপ্রো শহরে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের গভর্নর ভলোদিমির আরতিয়ুখ টেলিগ্রামে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চল বরাবর গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী এবং এরিয়াল ড্রোন দিয়ে তারা হামলা চালিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রস্তোভ অঞ্চল ও ভলগরোদ অঞ্চলে দুটি করে ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করেছে। তারা আরও বলেছে, দুটি ব্রিটিশ-নির্মিত ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানো হয়েছে।

রস্তোভের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ইয়ুরি স্লাইসার টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের হামলার ফলে কেউ হতাহত ও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বুধবার বলেছেন, রাশিয়ার স্থলবাহিনীকে রুখতে কিয়েভের বাহিনীকে সাহায্যের জন্য ইউক্রেনকে ‘অ্যান্টি-পার্সোনাল’ ল্যান্ড মাইন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।