আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
শরিফুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর। বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, গত ১৬ জুলাই বেরোবির গেটে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আছে।
এর আগে একই মামলায় মহানগর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার দেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই বাংলাদেশে যে ছয়জন নিহত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আবু সাঈদ।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মি. সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
আবু সাঈদকে গুলি করার ঘটনার সময় ধারণ করা কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল, যেখানে দেখা গেছে পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে আবু সাঈদ বুক পেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।