যুক্তরাষ্ট্র আর ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করার চুক্তি স্বাক্ষর করলো

ফিলিপাইনের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ কর্তৃক ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর তোলা এবং প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউটটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন (বামে), এবং ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো টিওডোরোকে সামরিক গোয়েন্দা চুক্তি স্বাক্ষরের পরে পোজ দিতে দেখা যায়।

ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র সোমবার (১৮ নভেম্বর) একটি সামরিক গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিটি এই অঞ্চলে অভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করেছে।

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ম্যানিলার সামরিক সদর দপ্তরে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্তো টিওডোরোর সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সেখানে উভয় কর্মকর্তা তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করার জন্য একটি সম্মিলিত সমন্বয় কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন।

জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট বা জিসোমিয়া নামের এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ নিরাপদে গোপনীয় সামরিক তথ্য শেয়ার করতে পারবে।

ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্সেনিও আন্দোলং বলেন, “এর ফলে ফিলিপাইন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উচ্চতর সক্ষমতা ও বড় ধরনের তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাবে না, এর ফলে সমমনা দেশগুলোর সাথেও একই ধরনের চুক্তি করার সুযোগ উন্মুক্ত হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনের মধ্যে নিরাপত্তা কার্যক্রম গভীর হয়েছে। উভয় নেতা দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানের নিকটবর্তী অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী নীতি মোকাবিলায় আগ্রহী।

দেশ দুটির মধ্যে ১৯৫১ সাল থেকে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে। যেকোনো পক্ষ দক্ষিণ চীন সাগরসহ কোন জায়গায় আক্রমণের শিকার হলে এই চুক্তি কার্যকর করা যেতে পারে।

অস্টিন সমন্বয় কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি ফিলিপাইনের প্রতি আমাদের লৌহকঠিন প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে শুরু করতে চাই।”

অস্টিন বলেন, সমন্বয় কেন্দ্রের দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তির মিত্রদের মধ্যে রিয়েল-টাইম তথ্য ভাগ করে নেয়া এবং আন্তঃক্রিয়াযোগ্যতা বাড়ানো উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এই জোট শক্তিশালী থাকবে বলে ফিলিপাইন আস্থা প্রকাশ করেছে।

ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী পদক্ষেপের মুখোমুখি হচ্ছে। এটি বার্ষিক জাহাজবাহিত বাণিজ্যের জন্য তিন লক্ষ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি পথ, যা চীন সম্পূর্ণভাবে নিজের বলে দাবি করে।