'পতিত সরকারের দোসর' আখ্যা দিয়ে ৩৭ সাংবাদিকের প্রেস ক্লাব সদস্যপদ স্থগিত

ফাইল ফটো

১৭০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পর এবারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে ৩৭ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক নোটিসে বলা হয়েছে, "জুলাইয়ের বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে" এই সাংবাদিকদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলা হয়েছে নোটিশে।

যাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন, নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল, জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের সদস্য ৫০ জন সাংবাদিকের একটি তালিকা দিয়ে 'সাংবাদিকতা অঙ্গনে নিষিদ্ধ' করার দাবি তোলে।

এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

এর আগে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন দফায় ১৭০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১২৯ জন সাংবাদিককে জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের নামে এভাবে হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।