যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বৈরি সম্পর্ক ম্যানেজ করতে আলোচনা অব্যাহত রাখার গুরুত্বের কথা আবারও ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) পেরুর রাজধানী লিমায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) সম্মেলনের সময় আলাদা এক শীর্ষ বৈঠকে এ কথা বলেন তারা।
বাইডেন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিশ্বের “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ” সম্পর্ক। তিনি জানান, দুই দেশের প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে রূপান্তরিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের (দুই নেতার)।
“এ ধরনের কথোপকথনে ভুল পদক্ষেপ এড়ানো যায়," বাইডেন তাদের বৈঠক সম্পর্কে বলেন। “গত চার বছরে, আমার ধারণা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে এ ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব”, বলেন তিনি।
শি একই ধরনের কথা বলেন। তিনি জানান, উভয় দেশকে “সারা বিশ্বের স্বার্থ মাথায় রাখতে হবে এবং নিশ্চিতভাবেই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এই বিশ্বে আরও ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করতে হবে।”
পরমাণু ঝুঁকি
হোয়াইট হাউস দুই দেশের বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতার খাত হিসাবে মাদক বিরোধী কার্যক্রমের পাশাপাশি নতুন খাতের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চুক্তি এবং পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মানবিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার বিষয়টি উল্লেখ করে।
জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জেক সালিভান এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখন পরমাণু ঝুঁকি কমানোর ভিত্তি তৈরি করছি”।
এসব ইতিবাচক বক্তব্য দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বেশ কিছু সমস্যার সাথে নতুন কিছু সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
বাইডেন এর আগে শিকে “একনায়ক” বলে অভিহিত করেছেন আর শি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে “গোলযোগের সবচেয়ে বড় উৎস” বলে আখ্যায়িত করেন। তবে উভয় নেতা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং গত চার বছরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই জটিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সফল হয়েছেন।
গত বছরের সম্মেলনে বাইডেন ও শি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ আবারও শুরুর বিষয়ে একমত হন। তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের সম্ভাব্য অস্থিরতার মোকাবিলার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।