জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের দুই সপ্তাহব্যাপী আলোচনা চলাকালে একটি প্রধান সভাকক্ষের বাইরে শত শত সক্রিয়বাদি তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ দিবসে একটি মানববন্ধন গঠন করেন ।
আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে জলবায়ু বিষয়ক ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী "অ্যাকশন ডে" হিসেবে পালন করা হবে। এই দিবসটি একটি বার্ষিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে।
সক্রিয়বাদিরা পতাকা নেড়ে, আঙ্গুল দিয়ে শব্দ করে চ্যালেঞ্জ জানান, স্লোগান দেন , অনেকে মুখে আঙুল দিয়ে "চুপ করানোর" প্রতীকী দেখিয়ে প্রতিবাদ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আরও অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্লাকার্ড তুলে ধরেন। এই অর্থায়নে পরিষ্কার জ্বালানীতে রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য নগদ অর্থ অন্তর্ভুক্ত। এই প্রতিবাদটি এমন এক সময়ে জানানো হলো যখন সভাস্থলে আলোচকরা ঠিক সেই ব্যাপারে চুক্তি করার চেষ্টা করছিলেন – কিন্তু এতে অগ্রগতি ছিল খুবই শ্লথ এবং পর্যবেক্ষরা বলছেন যে কোন সমঝোতার দিকনির্দেশনার ব্যাপারটি ছিল অস্পষ্ট।
'লড়াই চালিয়ে যাও'
লিডি ন্যাকপিল বলেন, তার মতো প্রতিবাদকারীরা যেভাবে আলোচনা চলছে তা নিয়ে "বিস্মিত নন"। ঋণ ও উন্নয়ন বিষয়ক এশীয় জনগণের আন্দোলনের সমন্বয়কারী ন্যাকপিল বলেন, লোকসান এবং ক্ষতিপূরণ তহবিল যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ঘটনাগুলির পরে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে নগদ অর্থ প্রদান করে অতীতের এরকম অর্জন আয়োজকদের লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে।
তাসনিম ইসপ বলেন, তিনি এই প্রতিবাদ দিবস দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। এটি আয়োজন করা অনেক কঠিন ছিল। তিনি বলেন, “এমন কোনও কাজ করতে পারা যাতে মানুষ তাদের নিজের শক্তি অনুভব করতে পারে, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এবং এই ধরণের সৃজনশীল উপায়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে, তা নিয়ে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।”
ইসপ বলেন, তিনি জলবায়ু অর্থায়ন সম্পর্কে "খুব" আশাবাদী নন। তবে তিনি জানেন আগামী সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের এমন দেশগুলির জন্য, বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভোগ করছে এবং যারা ক্রমবর্ধমান ও তীব্র সংকটের সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজন অনুভব করছে, তাদের জন্য আমরা কোনো খারাপ চুক্তি মেনে নিতে পারি না”।
তিনি বলেন “আমরা শেষ অবধি লড়াই করে যাব।”
জলবায়ুর অর্থায়ন
কপ২৯ নামে পরিচিত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মধ্যস্থতাকারীরা দরিদ্র দেশগুলির জন্য শত কোটি ডলারের একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। তাদের অনেকেই বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বসবাস করেন এবং ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ব্যয়বহুল প্রভাবে ভুগছেন। একাধিক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ধরনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পরিষ্কার জ্বালানীতে রূপান্তরের জন্য, যা অধিকাংশ দেশ নিজেরাই আর্থিকভাবে বহন করতে পারে না, প্রতি বছর এক লক্ষ কোটি ডলার বা তারও বেশি প্রয়োজন।
এই বছরের জলবায়ু আলোচনার উপ-প্রধান আলোচক সামির বেজানভ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের আলোচনা খুব ধীর গতিতে আগাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরাও অগ্রগতির গতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের দুই সপ্তাহব্যাপী আলোচনা চলাকালে একটি প্রধান সভাকক্ষের বাইরে শত শত সক্রিয়বাদি তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ দিবসে একটি মানববন্ধন গঠন করেন ।
আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে জলবায়ু বিষয়ক ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী "অ্যাকশন ডে" হিসেবে পালন করা হবে। এই দিবসটি একটি বার্ষিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে।
সক্রিয়বাদিরা পতাকা নেড়ে, আঙ্গুল দিয়ে শব্দ করে চ্যালেঞ্জ জানান, স্লোগান দেন , অনেকে মুখে আঙুল দিয়ে "চুপ করানোর" প্রতীকী দেখিয়ে প্রতিবাদ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আরও অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্লাকার্ড তুলে ধরেন। এই অর্থায়নে পরিষ্কার জ্বালানীতে রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য নগদ অর্থ অন্তর্ভুক্ত। এই প্রতিবাদটি এমন এক সময়ে জানানো হলো যখন সভাস্থলে আলোচকরা ঠিক সেই ব্যাপারে চুক্তি করার চেষ্টা করছিলেন – কিন্তু এতে অগ্রগতি ছিল খুবই শ্লথ এবং পর্যবেক্ষরা বলছেন যে কোন সমঝোতার দিকনির্দেশনার ব্যাপারটি ছিল অস্পষ্ট।
'লড়াই চালিয়ে যাও'
লিডি ন্যাকপিল বলেন, তার মতো প্রতিবাদকারীরা যেভাবে আলোচনা চলছে তা নিয়ে "বিস্মিত নন"। ঋণ ও উন্নয়ন বিষয়ক এশীয় জনগণের আন্দোলনের সমন্বয়কারী ন্যাকপিল বলেন, লোকসান এবং ক্ষতিপূরণ তহবিল যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ঘটনাগুলির পরে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে নগদ অর্থ প্রদান করে অতীতের এরকম অর্জন আয়োজকদের লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে।
তাসনিম ইসপ বলেন, তিনি এই প্রতিবাদ দিবস দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। এটি আয়োজন করা অনেক কঠিন ছিল। তিনি বলেন, “এমন কোনও কাজ করতে পারা যাতে মানুষ তাদের নিজের শক্তি অনুভব করতে পারে, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এবং এই ধরণের সৃজনশীল উপায়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে, তা নিয়ে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।”
ইসপ বলেন, তিনি জলবায়ু অর্থায়ন সম্পর্কে "খুব" আশাবাদী নন। তবে তিনি জানেন আগামী সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের এমন দেশগুলির জন্য, বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভোগ করছে এবং যারা ক্রমবর্ধমান ও তীব্র সংকটের সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজন অনুভব করছে, তাদের জন্য আমরা কোনো খারাপ চুক্তি মেনে নিতে পারি না”।
তিনি বলেন “আমরা শেষ অবধি লড়াই করে যাব।”
জলবায়ুর অর্থায়ন
কপ২৯ নামে পরিচিত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মধ্যস্থতাকারীরা দরিদ্র দেশগুলির জন্য শত কোটি ডলারের একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। তাদের অনেকেই বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বসবাস করেন এবং ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ব্যয়বহুল প্রভাবে ভুগছেন। একাধিক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ধরনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পরিষ্কার জ্বালানীতে রূপান্তরের জন্য, যা অধিকাংশ দেশ নিজেরাই আর্থিকভাবে বহন করতে পারে না, প্রতি বছর এক লক্ষ কোটি ডলার বা তারও বেশি প্রয়োজন।
এই বছরের জলবায়ু আলোচনার উপ-প্রধান আলোচক সামির বেজানভ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের আলোচনা খুব ধীর গতিতে আগাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকরাও অগ্রগতির গতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন।