সাংহাই, টোকিও, নিউ ইয়র্ক এবং হিউস্টন গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণকারী শহরের তালিকায় শীর্ষে

ফাইল - মন্টানার একটি জ্বালানি চুল্লী থেকে ধোঁইয়া বের হচ্ছে। ১ জুলাই ২০১৩।

পর্যবেক্ষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে প্রাপ্ত নতুন তথ্যানুসারে, এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো সবচেয়ে বেশি তাপ ধরে রাখে এমন গ্যাস নির্গত করে যা জলবায়ু পরিবর্তনের বড় একটি প্রভাবক। সবচেয়ে দূষণকারী শহর হলো সাংহাই।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের সহ-প্রতিষ্ঠিত এবং শুক্রবার আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় প্রকাশিত একটি সংস্থার নতুন তথ্য অনুসারে, সাতটি রাজ্য বা প্রদেশ ১০০ কোটি মেট্রিক টনের বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে। টেক্সাস ব্যতীত বাকি ছয়টি শহরই চীনে অবস্থিত। টেক্সাস তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

শূন্যস্থান পূরণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বরা পরিপূরক উপগ্রহ এবং স্থল পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে ক্লাইমেট ট্রেস তাপ-ফাঁদে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য গতানুগতিক বায়ু দূষণকারীর দূষণের পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ৯ হাজারের বেশি শহুরে অঞ্চলে এই প্রচেষ্টা চালানো হয়।

পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন দূষণ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১২০ কোটি মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে এবং স্বল্পকালীন কিন্তু অতিরিক্ত শক্তিশালী মিথেন দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্লাইমেট ট্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেভিন ম্যাককরমিক বলেন, “অন্যান্য ডেটাসেটের তুলনায় এই পরিসংখ্যান বেশি, কারণ আমাদের বিস্তৃত কভারেজ রয়েছে এবং আমরা সাধারণত বিদ্যমান থাকা খাতের তুলনায় আরও বেশি খাতে নির্গমন পর্যবেক্ষণ করেছি।”

সাংহাইয়ের ২৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যাস সমস্ত শহরে নির্গমনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং এই পরিমাণ কলম্বিয়া বা নরওয়ের মতো দেশগুলোর মোট নির্গমনকে ছাড়িয়ে যায়। টোকিওতে গ্রিন হাউস নির্গমনের পরিমাণ হলো ২৫ কোটি মেট্রিক টন, যা শীর্ষ নির্গমনের ৪০টি দেশের মধ্যে থাকা একটি দেশের সমান। এদিকে নিউইয়র্ক সিটিতে গ্রিনহাউস নির্গমনের পরিমাণ ১৬ কোটি মেট্রিক টন এবং হিউস্টনে তা ১৫ কোটি মেট্রিক টন, যা দেশব্যাপী নির্গমনের শীর্ষে থাকা ৫০টি দেশের একটির নির্গমণের পরিমাণের সমান। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে নির্গমনের পরিমাণ ১৪ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন। এটি শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

চীন, ভারত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া এবং রাশিয়ায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিসঃরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলা, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূষণ সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে।