শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে 'ইন্টারপোলের সহায়তা নেবে সরকার'

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটোঃ ৬ জানুয়ারি, ২০২৪।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা জুলাই-আগস্ট ‘গণহত্যা’ মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার, বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

রবিবার (১০ই নভেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকার শীঘ্রই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে।

অক্টোবরের ১৭ তারিখ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে এই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ৫ই অগাস্ট দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভন্ন আদালতে ২৩৭টি মামলা হয়েছে এখন পর্যন্ত।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ফটো।

দ্য হেগ-এ আওয়ামী লীগের অভিযোগ

অন্য দিকে গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) লন্ডনে অবস্থিত একজন আওয়ামী লীগ নেতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত এই আদালতে রোম সংবিধির ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযোগটি করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগটি দায়ের করেন।

ব্যারিস্টার ও সলিসিটর নিঝুম মজুমদার, ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, গভ ওয়াইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস শাকির উদ্দিনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্ট- আইসিসিতে দেয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আসিফ নজরুল বলেন, "এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লেখে জানানো।"

নভেম্বরের শুরুতে লন্ডনের এক আইনজীবী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও দ্য হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।