ট্রাম্পকে ইরানি নেটওয়ার্কের হত্যার ষড়যন্ত্র প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল- তদনীন্তন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প লিটিটিজ, পেনসিলভেনিয়ায় তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান শেষে , বুলেট প্রুফ গ্লাসে তার প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। নভেম্বর ৩,২০২৪।

আদালতের নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ইরানের তত্পরতাকারীরা বর্তমানে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিল এবং সে জন্য তারা সরকারের সমালোচকদের এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ষড়যন্ত্র বাদ দিতেও রাজি ছিল।

অভিযুক্ত রিং লিডার ৫১ বছর বয়সী ফারহাদ শাকেরি এবং এফবিআইয়ের মধ্যে একাধিক সংলাপে এটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন হত্যার সন্দেহভাজনদের ভাড়া করা নিয়ে আলাপের সময়ে একটি নথিতে বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

নথিপত্রগুলিতে এমন আভাস পাওয়া যায় যে শাকারি, যিনি বলেন ওই সব সংলাপের সময়ে তিনি তেহরানে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আটক একজন বন্দির জেলের মেয়াদ কমাতে এফবিআই’য়ের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন।

শাকারি এফবিআইকে বলেন যে ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ড কোর’এর একজন কর্মকর্তা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ অবধি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নিউ ইয়র্কের একজন ইরানি ভিন্ন মতাবলম্বী ও সাংবাদিকের পরিবর্তে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বলেন।

শাকেরি বলেন তাকে সাত দিরে মধ্যে পরিকল্পনা দেয়ার কথা বলা হয় এবং এই ব্যক্তিটি যখন বলেন ট্রাম্পকে টার্গেট করাটা ব্যয়বহুল ব্যাপার হবে তখন ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ড কোর’এর ওই কর্মকর্তা তাকে বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই অনেক অর্থ ব্যয় করেছি ..... অর্থ কোন ব্যাপার নয়”।

তিনি এফবিআইকে বলেন সাত দিন সময়ের মধ্যে যদি পরিকল্পনাটি গঠন করা না হয় তা হলে ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ড কোর’এর ওই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর অবধি অপেক্ষা করার কথা বলেন। তাদের যুক্তি ছিল যে ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলে তাঁকে হত্যা করা সহজ হবে।

আদালতের ওই নথিতে অবশ্য এ কথা বলা হয়নি যে এফবিআইয়ের সঙ্গে শাকেরির এই আলাপচারিতা আইআরজিসি কিংবা ইরানের অন্য কোন কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত কীনা।জাতিসংঘে ইরানি মিশনকে এ ব্যাপারে মন্তব্য করার অনুরাধ জানানো হলে তারা কোন সাড়া দেয়নি।

২০২০ সালে বাগদাদে যে ড্রোন আক্রমণে আইআরজিসি’র কুদস বাহিনীর নেতা কাসেম সুলেইমানি নিহত হন তারই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন ও ভবিষ্যত প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আসিফ মার্চেন্ট নামের একজন পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে যে সে কয়েক মাস আগে ইরানের পক্ষে পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসে । সে ট্রাম্প এবং অন্যান্যদের হত্যার জন্য লোকের সন্ধান করছিল।