ট্রাম্পের নামে ইসরায়েলি বসতিতে নির্বাচনের পর আশার আলো দেখছেন বাসিন্দারা

ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির ট্রাম্প হাইটসের ছোট্ট বসতির প্রবেশদ্বার ৭ নভেম্বর, ২০২৪।

“ট্রাম্প হাইটস” এর ইসরায়েলি বাসিন্দারা ট্রাম্পের নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাদের আশা, ডনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসা কেন্দ্রীয় গোলান মালভূমির এই ছোট, দুর্গম বসতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনিই ছিলেন প্রথম এবং একমাত্র বিদেশী নেতা যিনি ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করা গোলানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ইসরায়েল তার নামে এই ফাঁড়িটি পুনরায় ব্র্যান্ড করে তাকে ধন্যবাদ জানায়।

তবে ২০১৯ সালের অনুষ্ঠানের পরে সেখানে খুব কম সংখ্যক নতুন বাসিন্দা বাস করতে দিয়েছে। মাত্র কয়েক ডজন পরিবার ট্রাম্প হাইটস বা হিব্রু ভাষায় “রামাত ট্রাম্প” এ বসবাস করে। সেখানে কাজের সুযোগ সীমিত, এবং নিকটবর্তী লেবাননে হেজবুল্লাহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ এক ধরণের বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি সৃষ্টি করে। গোলানের আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান ওরি ক্যালনার অসংখ্য জমি প্রদর্শন করিয়েছেন, নতুন পাকা রাস্তা, ল্যাম্পপোস্ট এবং ইউটিলিটি লাইনসহ। বাসিন্দারা ভবিষ্যতের আবাসন উন্নয়নের জন্য এগুলো প্রস্তুত করেছেন।

ক্যালনার একটি ঈগল এবং একটি মেনোরার ধাতব মূর্তির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এগুলো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতীক। মেনোরার যখন প্রতীকদ্বয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। লেবানন থেকে ছোঁড়া রকেট থেকে দুটি বিস্ফোরণ নিকটবর্তী পাহাড়গুলোতে আঘাত করেছিল এবং লেবাননের সীমান্তের ঠিক ওপারে ইসরায়েলি বিমান হামলার ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে বাতাসে ওঠে।

হিব্রু এবং ইংরেজিতে বসতিটির নামসহ একটি বিশাল চিহ্ন সূর্যের আলোতে চকচক করছিল। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় ধাতব পতাকা সূর্যের তাপে প্রায় ম্লান হয়ে গিয়েছিল।

ইসরায়েল ১৯৮১ সালে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের উপরের দিকের কৌশলগত মালভূমি গোলান দখল করে নেয়। এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয় নাই।

এটি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবর্তিত হয়েছিল। সেসময় ট্রাম্প কোনো নোটিস ছাড়াই টুইট করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণকে “পুরোপুরি স্বীকৃতি” দেবে। তার এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গোলানকে দখলকৃত সিরিয়ার অঞ্চল এবং ইসরায়েলের বসতিকে অবৈধ মনে করে। বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত অক্ষত রেখেছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ হিসেবে ইসরায়েলি অধিগ্রহণকে স্বীকৃতি দিয়েছে।