ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বোমা হামলা

ওডেসা আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেহ কিপার কর্তৃক প্রদত্ত এই ছবিতে রাশিয়ার হামলাস্থল দেখা যাচ্ছে। ওডেসা, ইউক্রেন। ফটোঃ ৮ নভেম্বর, ২০২৪।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাশিয়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা নিক্ষেপ করে ওডেসা, খারকিভ ও কিয়েভে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একাধিক বাসভবন ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত একজন নিহত ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।

খারকিভের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত বোমা শুক্রবার ভোরবেলা একটি ১২ তলা বাসভবনে আঘাত হেনেছে। তারা বলেছেন, বোমাটি প্রথম তিনটি তলায় আঘাত হানে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা দেখতে অনুসন্ধান চলছে।

ওডেসাতে পুলিশ ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসকে (এএফপি) বলেছেন, বেশ কয়েকটি বাসভবনকে গুড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়ার ড্রোন এবং কিছু জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলেছেন, গাড়িতে বুলেটের আঘাত লেগে ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত এবং আরও অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক ট্যুইটার) বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নিক্ষেপ করা চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ও আনুমানিক ৬০টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে সে দেশের বাহিনী।

জেলেন্সকি লিখেছেন, “আমাদের জীবনকে ধ্বংস করতে রাশিয়া যতবার উদ্যোগ নিচ্ছে, ততবার সন্ত্রাসের সম্ভাবনাকে হ্রাস করতে ও রুখতে আন্তর্জাতিক স্তরে সমষ্টিগত ও স্পষ্টভাবে প্রত্যুত্তর দেওয়া জরুরি হয়ে উঠছে। এটি অর্জন করতে ইউক্রেনের শক্তি প্রয়োজন। ন্যায্য শান্তি অর্জন ও আমাদের জনগণের হত্যা বন্ধ করতে এটাই একমাত্র পথ।”

তিনি আরও বিমান প্রতিরক্ষা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, অস্ত্র প্যাকেজ ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার বুদাপেস্টে আয়োজিত ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি শীর্ষ সম্মেলনে এই বার্তা দিয়েছেন। এই সম্মেলনে তিনি ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং ইউক্রেনের বাহিনীকে শক্তিশালী করতে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।

যদিও অধিকাংশ ইউরোপীয় নেতা যখন ইউক্রেনের যুদ্ধ-প্রচেষ্টায় সাহায্য অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তখন চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় এই অবস্থা বদলে দিতে পারে বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস ব্রিফিং-এ মুখপাত্র ক্যারিন জ্যঁ-পিয়ের সংবাদদাতাদের বলেন, জানুয়ারির শেষে ট্রাম্পকে বাইডেনের ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে পর্যন্ত ইউক্রেনকে ত্রাণ সরবরাহ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।