নেটোর প্রধান মার্ক রুট্টে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা এমন একটা হুমকি যা ইউরোপের বাইরেও প্রসারিত এবং সমষ্টিগতভাবে এর মোকাবিলা করা দরকার।
“উত্তর কোরিয়ার ভূমিকা কার্যত দেখিয়ে দিচ্ছে চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও অবশ্যই ইরানের মতো দেশগুলি কীভাবে একসঙ্গে কাজ করছে," বুদাপেস্টে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে রুট্টে সংবাদদাতাদের বলেন।
"এটা কেবল নেটোর ইউরোপীয় অংশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বড়সড় হুমকি কারণ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সাহায্যের বিনিময়ে রাশিয়া এই দেশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে,” তিনি বলেন।
রুট্টে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সফল হয়, তাহলে তারা আরও সাহসী ও ভালভাবে সজ্জিত হয়ে উঠবে যা নেটোর সীমান্ত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
নেটোর নেতা বলেন, “আমরা সমষ্টিগতভাবে কীভাবে এই হুমকির মোকাবিলা করতে পারি ও বিশ্বে আমাদের অঞ্চলগুলিকে নিরাপদ রাখতে পারি” তা নিয়ে নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল বৃহস্পতিবার সোলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া কতটা যুক্ত হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে তার সরকার “ধীরে ধীরে সহযোগিতার কৌশলকে ধাপে ধাপে নির্ধারণ করবে।”
ইয়ুন বলেছেন, “অর্থাৎ অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনাকে আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি গ্রুপ অফ সেভেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা বুধবার একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে “ইউক্রেনের বিপক্ষে রাশিয়ার আগ্রাসনে ডিপিআরকের প্রত্যক্ষ সাহায্য” নিয়ে “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা ডিপিআরকে) উল্লেখ করা হয়।
রাশিয়া ডিপিআরকে-কে পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে পারে, এমন সম্ভাবনা নিয়েও তারা গুরুতর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।