ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও তার ছেলে ব্যারন ট্রাম্পকে নিয়ে নির্বাচনের রাতে এক অনুষ্ঠানে হাজির হন ওয়েস্ট পাম বিচ কনভেনশন সেন্টারে। ফ্লোরিডা। ফটোঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে পরাস্ত করে নতুন চার বছরের মেয়াদে সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন।

টানটান হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ট্রাম্প মঙ্গলবারের নির্বাচনে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭৭টি দখল করে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন। ফলত, ১৮৯০-এর দশকের পর থেকে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নেতা যিনি অ-ধারাবাহিক মেয়াদে বিজয় লাভ করলেন।

জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

বুধবার সকালে ট্রাম্প বিজয়ের দাবি তুলে ফ্লোরিডার এক সমাবেশে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান।

ট্রাম্প বলেছেন, “এটা এমন একটা আন্দোলন যা আগে কেউ কখনও দেখেনি এবং খোলাখুলিভাবে বললে, আমি বিশ্বাস করি, এটা সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক আন্দোলন।”

তিনি “আমাদের সীমান্ত ঠিক করতে” ও “আমাদের দেশের সবকিছু ঠিকঠাক করতে” অঙ্গীকার করেছেন।

ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি “শক্তিশালী, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী আমেরিকা” গঠনের জন্য কাজ করবেন।

হ্যারিসের প্রচার বিভাগের এক কর্মকর্তা ওয়াশিংটনে একদল সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি নৈশ সমাবেশে ভাষণ দেবেন না, তবে বুধবার পরের দিকে বক্তৃতা দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থায় হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়কেই সেই সব অঙ্গরাজ্যে দ্রুত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে তাদের দলের স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে, দেশের নজর ছিল মোটামুটি সাতটি তথাকথিত ‘সুইং স্টেটে’র দিকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে শেষ হাসি হাসবেন তা নির্ধারণ করে দেবে এই অঙ্গরাজ্যগুলি, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিনে ট্রাম্পের বিজয় তাকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবার রিপাবলিকানদের সাফল্য কংগ্রেস অবধি পৌঁছেছে। সিনেটে এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পেয়েছে; ১০০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৫১টিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। প্রতিনিধি সভা বর্তমানে রিপাবলিকানদের দখলে থাকলেও এর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা বুধবার সকালে নির্ধারিত হয়নি।

আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি নতুন মেয়াদে ওভাল অফিসের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ট্রাম্প।

পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পারস্পরিক সম্পর্কের দিকে; এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের পদক্ষেপের মতো একাধিক বিষয়।

ট্রাম্পের আগের মেয়াদে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের আবহে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর একাধিক শুল্ক চাপিয়েছিলেন তিনি।

আদেলফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান কলেজের ডিন ভিনসেন্ট ওয়াং ভিওএ ম্যান্ডারিনকে বলেছেন, হ্যারিস বিজয়ী হলে চীন আগ্রাসী অবস্থান নিত, তবে ট্রাম্পের ফেরায় এর সম্ভাবনা কম।