ইসরায়েল জাতিসংঘকে বলেছে, নতুন আইন চালু হবার পর আনরা-র সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে না

গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলে দেইর আল-বালাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে ময়দার বস্তা গাড়িতে বোঝাই করা হচ্ছে। ফটোঃ ৩ নভেম্বর, ২০২৪।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, দেশটি জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে যে, পরের বছরের শুরুতে ইসরায়েলের নতুন আইন একবার কার্যকর হয়ে গেলে ফিলিস্তিনের শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থার (আনরা) সঙ্গে তারা সহযোগিতা করবে না।

এই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ও ইসরায়েলে এর কাজ বন্ধ করা বিষয়ক আইনকে ইসরায়েলি সংসদ অনুমোদন দিয়েছে এবং তারপরই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আনরা-তে হামাসের অনুপ্রবেশ বিষয়ে জাতিসংঘে প্রচুর প্রমাণ জমা দেওয়া সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিকে সংশোধন করতে জাতিসংঘ কিছু করেনি।”

ইসরায়েল আনরা-কে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে এবং তাদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের উপর হামলায় এই সংস্থার কিছু কর্মী অংশ নিয়েছিলেন।

ইসরায়েল তাদের এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণই দেয়নি এবং আনরা-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, সংস্থাটি এই সংক্রান্ত প্রমাণ দিতে ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনও প্রত্যুত্তর দেয়নি।

লাজারিনি বলেন, “তাই, এই অভিযোগগুলি মোকাবেলা করতে অক্ষম হওয়ায় এক অস্বস্তিকর অবস্থানে রয়েছে আনরা, যে অভিযোগের কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই; সংস্থাটিকে অবমূল্যায়ন করতে এই অভিযোগগুলিকে লাগাতার ব্যবহার করা হচ্ছে।”

গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের প্রধান ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থা হল আনরা। হামাসের হামলার পাল্টা জবাবে এই ভূখণ্ডের বহু এলাকা বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ইসরায়েল এবং গাজার ২৩ লক্ষ জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

গত সপ্তাহে লাজারিনি বলেছেন, সংস্থাটিকে বিনষ্ট করা হলে “গাজায় মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সাহায্যের উপর বিপর্যয়কর প্রভাব পড়বে।”

জাতিসংঘকে লেখা ইসরায়েলের চিঠিতে বলা হয়েছে, “গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের কাছে মানবিক ত্রাণ সরবরাহকে সুনিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলি-সহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে দেশটি কাজ অব্যাহত রাখবে এমনভাবে যাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা খর্ব না হয়।”