গাজায় পোলিও টিকা কর্মসূচির মাঝে ক্লিনিকে হামলা, দায় অস্বীকার ইসরায়েলের

গাজা সিটিতে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের পাশ দিয়ে ঘোড়ায় টানা গাড়িতে চড়েছেন এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তি। ফটোঃ ২ নভেম্বর, ২০২৪।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি ক্লিনিকে শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চার শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ মতে, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে এই হামলা হয়। এ অঞ্চলটিকে ইসরায়েলি বাহিনী ঘিরে রেখেছে এবং গত এক বছরের বেশিরভাগ সময় এটি বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই এলাকায় ইসরায়েল আরও একটি অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার দশেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

উভয় পক্ষের এই সাংঘর্ষিক বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ইসরায়েলি বাহিনী চলমান সংঘাতের শুরু থেকেই বারবার গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালিয়ে গেছে।

তাদের দাবি, হামাস এগুলোকে সামরিক কাজে ব্যবহার করে। তবে এসব অভিযোগ মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. মুনির আল-বুর্শ এপিকে জানান, শনিবার বিকালে গাজা সিটিতে অবস্থিত শেখ রাদওয়ান ক্লিনিকে একটি কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) হামলা চালায়। এর কয়েক মিনিট আগেই জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল জায়গাটি ছেড়ে যান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ যৌথভাবে এই টিকা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ইউনিসেফ এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র রোসালিয়া বোলেন জানান, “এই হামলার খবরটি খুবই উদ্বেগজনক, কারণ শেখ রাদওয়ান ক্লিনিক হচ্ছে এমন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেখানে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে পারেন।”

“আজকের হামলা যখন হয়, তখনো মানবিক বিরতি চলছিল। আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতি চালু থাকবে।”

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলছেন, “আমাদের প্রাথমিক নিরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছি যে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) ওই এলাকায় উল্লেখিত সময় হামলা চালায়নি, যা (ফিলিস্তিনিদের) দাবির বিপরীতে যায়।”