উত্তর কোরিয়াঃ  আইসিবিএম পরীক্ষা শত্রুদের বিরুদ্ধে ‘উপযুক্ত সামরিক পদক্ষেপ’, বলছেন নেতা কিম

সিউল রেলওয়ে স্টেশনে টিভিতে এক সংবাদ অনুষ্ঠান চলাকালে পর্দায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ছবি দেখা যাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর ২০২৪।

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। উন্নততর এই সংস্করণকে “বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র” বলে অভিহিত করা হয়েছে। সিউল সতর্ক করেছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য পিয়ংইয়ং মস্কোর কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পেতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, যে সকল শত্রু তার দেশের নিরাপত্তাকে হুমকি দিয়ে চলেছে তাদের জন্য এই পরীক্ষা একটা হুঁশিয়ারি।

কেসিএনএ কিমকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এই পরীক্ষা একটি উপযুক্ত সামরিক পদক্ষেপ যা সেই সকল প্রতিপক্ষকে অবহিত করার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেছে যারা আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করেছে, সম্প্রতি আমাদের প্রজাতন্ত্রের নিরাপত্তা ও আমাদের পাল্টা পদক্ষেপের অভিপ্রায়কে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এই শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা এমন একটা সময় ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যরা বলছে যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াতে ১১ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে; এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়েছে এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে দ্রুত নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।

একদিন আগে, সিউল সামরিক গোয়েন্দা বিভাগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে আইসিবিএম উৎক্ষেপণ বা সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারে। তাদের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করাই লক্ষ্য।

রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়া ইন্সটিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যানালিসিসে উত্তর কোরিয়ার সামরিক ব্যবস্থা বিষয়ক গবেষণার প্রধান শিন সিউং-কি বলেন, সম্ভবত রাশিয়ার সাহায্য নিয়ে বিদ্যমান আইসিবিএমের উন্নত সংস্করণের সামর্থ্য কতটা তা পরীক্ষা করতেই এই উৎক্ষেপণ।

তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়া এমন সাহায্য পেয়ে যেতেই চাইবে কারণ এতে সময় ও ব্যয় বাঁচে।”

শিন বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় উত্তর কোরিয়ার উপর যেভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তার পাল্টা জবাব হতে পারে এই পরীক্ষা।

তিনি আরও বলেন, “তারা কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না, সেয়ানে সেয়ানে প্রত্যুত্তর দেবে, এটা দেখানোই তাদের অভিপ্রায় হতে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর কিছুটা প্রভাব ফেলার ইচ্ছাও থাকতে পারে।”