নেটো সোমবার নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার লড়াইয়ের মস্কোকে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়ার সৈন্য পাঠানো হয়েছে এবং রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এই সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কুর্স্ক অঞ্চলে আগস্ট মাসে ইউক্রেন বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায় এবং এই অঞ্চলকে এখনও তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের এক প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে নেটোর কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা ব্রিফিং পাওয়ার পর নেটোর মহাসচিব মার্ক রুট্টে ব্রাসেলসে সংবাদদাতাদের বলেছেন, “রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক সমন্বয় ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
রুট্টে বলেছেন, ইউক্রেনে “রাশিয়ার বেআইনি যুদ্ধে” উত্তর কোরিয়া ৩ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে, অর্থাৎ এই লড়াইয়ে পিয়ংইয়ং-এর অংশগ্রহণ যে “উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি” পেয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই ঘটনায়। পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে ভঙ্গ করছে এবং ৩২ মাসব্যাপী চলা যুদ্ধ “বিপজ্জনকভাবে প্রসারিত” হচ্ছে।
নেটোর মহাসচিব বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের “ক্রমবর্ধমান হতাশা”র লক্ষণ ফুটে উঠেছে।
রুট্টে বলেছেন, “পুতিনের এই যুদ্ধে ৬ লক্ষের বেশি রুশ সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছে এবং বিদেশী সাহায্য ছাড়া ইউক্রেনের উপর হামলা অব্যাহত রাখতে তিনি সক্ষম নন।”
উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন সম্পর্কে প্রতিবেদনকে “ভুয়ো খবর” বলে বাতিল করে দিয়েছে ক্রেমলিন। তবে, গত সপ্তাহে পুতিন অস্বীকার করেননি যে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা বর্তমানে রাশিয়ায় রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক নিরাপত্তা চুক্তির অংশ হিসেবে এই সৈন্যদের কীভাবে মোতায়েন করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব মস্কোর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি গত সপ্তাহে রাশিয়ায় পিয়ংইয়ং-এর সৈন্য মোতায়েন সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে “ভিত্তিহীন গুজব” বলে আখ্যায়িত করেছেন।