যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনঃদোদুল্যমান ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টায় হ্যারিস এবং ট্রাম্প

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর পৃথক প্রচারণা ইভেন্টে দেখা যায়।

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তাদের প্রচারণার শেষ সপ্তাহ পার করছেন। দুজনেই কয়েক দশকের মধ্যে দেশের অন্যতম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাওয়া নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য যেকোনো ক্ষুদ্র সুবিধাও পেতে চাইছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস রবিবার দেশটির ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর ও ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি ফিলাডেলফিয়া সফর করেছেন। সেখানে তাকে রাজনৈতিক ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভানিয়ায় তার ভোট বাড়াতে হবে।

এদিকে ট্রাম্প তার জন্মস্থান নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে একটি বড় সমাবেশ করেছেন। এটিকে বলা হয় “বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত অঙ্গন”। জরিপে দেখা গেছে, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ২০২০ সালের নির্বাচনে সেখানে তিনি ৪০ শতাংশের কম ভোট পান। ত

মঙ্গলবার কমালা হ্যারিস হোয়াইট হাউসের অদূরে দেয়া এক ভাষণে ভোটারদের কাছে তার "সমাপনী বক্তব্য" রাখার কথা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প এ জায়গায় তার সমর্থকদের ক্যাপিটলে গিয়ে ‘নরকের মতো লড়াই’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন তাকে পরাজিত করেছেন বলে কংগ্রেসকে প্রত্যয়ন করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা যায়।

ঐ দাঙ্গার পর দেড় হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ১৪০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মী আহত হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন জনপ্রিয় ভোট দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনকে ৫০টি রাজ্যেরই প্রতিযোগিতায় পরিণত করা হয়, ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৪৮টি রাজ্যে তাদের সমস্ত নির্বাচনী ভোট তাদের রাজ্যে বিজয়ীদের দেয়া হয়; তা সে হ্যারিস বা ট্রাম্প যেইই হোক। অন্যদিকে নেব্রাস্কা এবং মেইন রাজ্য এবং কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট উভয় ভোট গণনার মাধ্যমে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নির্ধারণ করে।

প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচনী ভোটের সংখ্যা জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। তাই বৃহত্তম রাজ্যগুলো সামগ্রিক জাতীয় ফলাফল নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখে। প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি প্রয়োজন।