ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে দুটি গোপন সামরিক ঘাঁটির স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
অতীতে বিশেষজ্ঞরা একটি স্থাপনাকে তেহরানের এককালীন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এবং অন্যটিকে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসুচির সাথে যুক্ত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর মধ্যে কয়েকটি ইরানের পারচিন সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা সন্দেহ করে যে, সেখানে ইরান অতীতে উচ্চ বিস্ফোরকের পরীক্ষা চালিয়েছিল যা পারমাণবিক অস্ত্র সৃষ্টি করতে পারে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ; তবে আইএইএ, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যরা বলছে, ২০০৩ সাল পর্যন্ত তেহরানের সক্রিয় অস্ত্র কর্মসূচি ছিল।
নিকটবর্তী খোজির সামরিক ঘাঁটিতেও ক্ষতি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি ভূগর্ভস্থ টানেল সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সাইটগুলো লুকানো রয়েছে।
ইরানের সামরিক বাহিনী শনিবারের ভোরের হামলায় খোজির বা পারচিনে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি। তবে তারা বলেছে, হামলায় দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কর্মরত চারজন ইরানি সেনা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও না।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রবিবার এক সভায় বলেন, ইসরায়েলি হামলাকে ‘অতিরঞ্জিত বা খাটো করে দেখা উচিত হবে না’। তবে তিনি তাৎক্ষনিক পাল্টা হামলা করার কথা বলা থেকে বিরত থাকেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার পৃথকভাবে বলেন, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতি’ হয়েছে এবং এই হামলা ‘সব লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
ইসরায়েলি হামলায় মোট কতগুলো স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় তা এখনো স্পষ্ট নয়।ইরানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
ইরানের কর্মকর্তারা ইলাম, খুজেস্তান ও তেহরান প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো শনাক্ত করেছেন। শনিবার ইরানের ইলাম প্রদেশের তাঙ্গে বিজার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের সাইটের আশেপাশে প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির উপগ্রহ চিত্রে পোড়া খেত দেখা গেছে, তবে এটি হামলার সাথে সম্পর্কিত কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। ইলম প্রদেশ পশ্চিম ইরানের ইরাক সীমান্তে অবস্থিত।