ঢাকায় সাবেক মন্ত্রী এবং সেনা অফিসারসহ ১০জনকে 'গণহত্যার' দায়ে ট্রাইব্যুনালে তলব

ফাইল ফটোঃ বাংলাদেশ হাই কোর্ট।

গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত “গণহত্যার” মামলায় কারাবন্দি থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিবকে রবিবার গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একই সঙ্গে তাদের আগামী ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী; সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, দীপু মনি, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়।

ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে “গণহত্যার” অভিযোগ ওঠে। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অন্তর্বর্তী সরকার এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠন করে এবং তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটার নিয়োগ করে।

সরকার পতনের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে জামাতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার করা হয়।

তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়।