রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার

বঙ্গভবন, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনকে ঘিরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এর আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বঙ্গভবনের সামনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার পর বুধবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে ব্যারিকেড ও তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।

সকাল থেকে বঙ্গভবনের চারদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেথানে আন্দোলনকারীদের তেমন কোনো জমায়েত দেখা যায়নি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামানসহ রায়ট কারও।

রাষ্ট্রপতি কার্যালয় জানায়, বিক্ষোভ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে কয়েকটি সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হয়।

দিনভর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতি দেশের একমাত্র নাগরিক যার নিয়ন্ত্রণে তিন বাহিনী (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহী)।