পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলো জিনজিয়াং, তিব্বতে অধিকারের স্বচ্ছতা চায়

ফাইল- লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ‘এর বিরুদ্ধে তিব্বতের সমর্থক এক ব্যক্তি উইঘুরের পতাকা নাড়াচ্ছেন। ব্রিটেন, ২১ অক্টোবর, ২০১৫।

পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলোর একটি গোষ্ঠী জোর করে আটক উইঘুর মুসলিম ও তিব্বতিদের মুক্তি দেয়ার জন্য এবং পরিস্থিতির মূল্যায়নের জন্য নিরপেক্ষ মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের সে সব স্থাপন পরিদর্শনের অনুমতি প্রদানের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মানবাধিকার সম্পর্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘে অস্ট্রলিয়ায় জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জেমস লার্সন বলেন, “ স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা উদ্বেগ নিরসনের চাবিকাঠি। আমরা চীনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তারা যেন জাতিসংঘসহ নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের জিনজিয়াং ও তিব্বতে বিনা বাধায় অর্থবহ প্রবেশের অনুমতি দেয়।

লার্সেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি ও জাপানসহ ১৫টি রাষ্ট্রের পক্ষে এই বিবৃতিটি দেন।

জিনজিয়াং হচ্ছে চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত এলাকা যেখানে সংখ্যালঘু উইঘুর ও তুর্কি ভাষী লোকজন বাস করেন।

চীন জিনজিয়াং এর , “ পূণ:শিক্ষা শিবিরে “ ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে বন্দী করে রেখেছে বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি অভিযোগ করেছে। চীন তিব্বতে স্বাধীনতার বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের বহু অধিকার বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনও তুলে ধরেন যেখানে জিনজিয়াং এ ব্যক্তিদের ব্যাপক ভাবে জোর করে আটক রাখা, জোর করে গুম করা, বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োগ করা এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলি ধ্বয়স করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

লার্সেন জুলাইয়ে ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউর জুলাই সংস্করণে বলেন “ চীনের অনেক সুযোগ ছিল জাতিসংঘের সুপ্রতিষ্ঠিত উদ্বেগগুলির অর্থবহ সমাধান করা। কিন্তু তা না করে চীন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দপ্তরের মূল্যায়নকে “ অবৈধ ও ভুয়া” বলে অভিহিত করেছে”।

তিনি বলেন তিব্বতিদেরও তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার জন্য লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। তাদের ভাষা, সংস্কতি, শিক্ষাগত ও ধর্মীয় অধিকারকে মুছে ফেলা হচ্ছে এবং তাদের ভ্রমণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

চীনের দূত এই সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে পশ্চিমি গোষ্ঠীকে দ্বন্দ্বে উস্কানি দেয়ার জন্য মানবাধিকারকে “ অস্ত্র হিসেবে” ব্যবহার করার অভিযোগ করেন।

ওই কমিটিকে চীনা রাষ্ট্রদূত ফু চং বলেন, “ জিনজিয়াং ‘এর তথাকথিত মূল্যায়ন মিথ্যা ও প্রতারণায় পরিপূর্ণ। এটি হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কিছু দেশর চাপের ফল”।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বহু দেশ জিনজিয়াং ‘এ চীনের কর্মকান্ডকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছে তবে এই অভিযোগ চীন অস্বীকার করেছে।