লেবাননের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূত

যুক্তরাষ্ট্রের দূত অ্যামস হকস্টেইন (বামে) লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে বৈরুতে বৈঠক করছেন। ফটোঃ ২১ অক্টোবর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের দূত অ্যামস হকস্টেইন আলোচনার জন্য সোমবার বৈরুতে রয়েছেন। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষ বন্ধের প্রস্তাব আনার চেষ্টা করাই তার লক্ষ্য। গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক চাপের অংশ এই বৈঠক। একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও ঐ অঞ্চলে যাচ্ছেন।

হকস্টেইন সংবাদদাতাদের বলেছেন, লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে তার “গঠনমূলক” আলোচনা হয়েছে এবং লেবাননে থাকাকালীন তিনি সরকারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলবেন।

তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ প্রস্তাবটি তুলে ধরেছেন যা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালে শেষ যুদ্ধের পরে গৃহীত হয়েছিল। এই প্রস্তাবে হিজবুল্লাহকে তাদের যোদ্ধাদের লেবাননের লিটানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নিতে এবং ইসরায়েলকে তাদের বাহিনী লেবানন থেকে প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

হকস্টেইন বলেছেন, এই প্রস্তাব প্রয়োগ করতে কেউই কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তিনি বারবার বলেন, উভয় পক্ষে এই আস্থা গড়ে তোলাই লক্ষ্য যে প্রস্তাবটি প্রয়োগ করা হবে এবং সংঘাত স্থগিত করা একটা পথ যা সুনিশ্চিত করবে, এক মাস বা এক বছরের মধ্যে এই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি হবে না।

হকস্টেইন বলেন, “এই অঞ্চলের সবার মতো লেবাননের জনগণ শুধু বাড়ি যেতে চান এবং নিজেদের ও পরিবারের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাইছেন।”

ব্লিংকেন সোমবার সফর করতে চলেছেন। পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি “গাজার যুদ্ধ শেষ করা, জিম্মিদের মুক্তিকে নিশ্চিত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের যন্ত্রণা দূর করার গুরুত্ব নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।”

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে তিনজন লেবাননী সৈন্যকে হত্যার জন্য সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দুঃখপ্রকাশ করেছে।

সোমবার বৈরুত ও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লাহ-সম্পৃক্ত আর্থিক সংস্থা আল-কর্দ আল-হাসানকে নিশানা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র আল-কর্দ আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে।

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলে অভিযানের ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল সে দেশের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছে।

ইউনিফিল বলেছে, সর্বশেষ ঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বুলডোজার ইচ্ছাকৃতভাবে ইউনিফিলের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও চত্বরের বেড়া ধ্বংস করেছে।