জার্মানীতে বাইডেনের ঝটিকা সফর, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা 

বার্লিনে চ্যান্সেলরিতে সমবেত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (বাম দিক থেকে)। ফটোঃ ১৮ অক্টোবর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার ঝটিকা সফরে জার্মানিতে গিয়েছেন। ট্রান্স-আটলান্টিক ঐক্যের বিষয়ে জোর দিতে এবং জার্মানির সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান গ্রহণ করতে তিনি সে দেশে সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করতে বাইডেন বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে--রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নেতার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হত্যার খবরে শুক্রবারের রাষ্ট্রীয় সফরে গাজার যুদ্ধের বিষয়টি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, গত বছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের উপর হামাসের অতর্কিত হামলার ফলে এই ভূখণ্ডে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জার্মানিতে অবতরণের কয়েক মিনিট পরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বাইডেন ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকে “বিশ্বের জন্য ভাল দিন” বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, “এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হোন এবং নিশ্চিত করুন, গোটা বিশ্বের জন্য সবকিছুকে আরও ভাল করতে সক্ষম হতে পারি এমন একটা দিকে আমরা অগ্রসর হব। এই যুদ্ধ বন্ধ করা এবং জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।”

বাইডেন বলেছেন, নানা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে ইসরায়েলে পাঠাবেন।

জার্মানির জন্য বাইডেনের এই একদিনের ঝটিকা সফর শুধু অর্থবহই নয়, সেই সঙ্গে ইতিহাসে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, হলোকস্ট থেকে বেঁচে ফেরা ১০২ বছর বয়সী মার্গো ফ্রিডল্যান্ডারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতও ছিল এই সফরসূচিতে।

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমার বাইডেনকে সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ মেরিটে’ ভূষিত করেন এবং ১৯৮০-র দশকের ঘটনা দিয়ে বাইডেনের সফরের গুরুত্বের বিষয়ে তিনি তার অভিমত জানান। এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণ সিনেটর বিভক্ত জার্মানির তৎকালীন রাজধানী বার্লিনে এসেছিলেন।

স্টেইনমার বলেন, “আজ আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট এবং আপনার নেতৃত্বে ট্রান্স-আটলান্টিক জোট মজবুত হয়েছে এবং আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক ঘনিষ্ঠ।”