আগামী নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে সম্ভব হতে পারে: আসিফ নজরুল

ড. আসিফ নজরুল (ফাইল ছবি)

২০২৫ সালের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, "আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরীখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হবে। অনেকগুলো বিষয় আছে। এটা আমার প্রাথমিক অনুমান।"

বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের 'আজকের পত্রিকা' অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী নির্বাচনের সময় জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ড. আসিফ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।

এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বা আগামী নির্বাচন কবে হবে এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।

২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ডঃ ইউনূস বলেন, "আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু সিদ্ধান্ত নেইনি।"

এর আগে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে আগামী আঠারো মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে যেন সক্ষম হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তার দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাবার কথা জানান বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

সেনা প্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এ কথা থেকে কি ধরে নেয়া যায় যে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস, এ প্রশ্নটি করা হলে, জবাবে ইউনূস বলেন, "সেটা আপনি ইচ্ছা করলে ধরতে পারেন। কিন্তু, সরকারের মতামত তো না সেটা। সরকার তো কোনো মত দেয়নি এ পর্যন্ত। কাজেই সরকার কখন মেয়াদ ঠিক করবে সেটা সরকারকে বলতে হবে। সরকার না বলা পর্যন্ত সেটা তো সরকারের মেয়াদ হচ্ছে না।"

বিষয়টি পরিষ্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আরো বলেন, "আমাদেরই বলতে হবে। আমাদেরকেই বলতে হবে। আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন তখন সেটাই হবে তারিখ।"

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে এবছরের ৫ অগাস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। সরকারের পতনের পর ৮ অগাস্ট ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেওয়া হয়েছে।)