তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম–কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শমসের মবিন চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো হয়।
রাতে তিনি ঢাকার শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাদের দুপুরে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।
সাবেক সেনাকর্মকর্তা শমসের মবিন চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বীর বিক্রম খেতাব পান। ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগ দেন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
শমসের মবিন চৌধুরী ২০১৫ সালে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সবশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি।
তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনিও এক সময় বিএনপির নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তৃণমূল বিএনপি।