ইসরায়েল বৃহস্পতিবার নিশ্চিৎ করে বলেছে, গাজায় তাদের এক অভিযানে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। ঐ অভিযানে তিনজন জঙ্গীকে টার্গেট করা হয়েছিল।
ইসরায়েল বলেছে, যে ভবনে তিনজন জঙ্গি নিহত হয় সেখানে জিম্মিদের উপস্থিতির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আগস্টে তেহরানে তৎকালীন নেতা ইসমাইল হানিয়াহর হত্যাকাণ্ডের পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু করা ইসরায়েলে হামলার প্রধান স্থপতি সিনওয়ারকে হামাসের নেতা ঘোষণা করা হয়। হানিয়াহ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫ জন শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে একজন হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। তারা বেকা উপত্যাকায় নতুন দফায় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশও ঘোষণা করে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিহত কমান্ডারকে হুসেইন আওয়াদা বলে শনাক্ত করেছে এবং ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য সে দায়ী বলে জানিয়েছে।
ইসরায়েল লেবাননের কিছু অংশে কয়েক দফা সরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করে বলেছে, হিজবুল্লাহ জঙ্গি স্থাপনার কাছাকাছি থাকার কারণে লোকজনকে সেখান থেকে সরে যেতে হবে। এই নির্দেশ সাধারণত ইসরায়েলি বিমান হামলার আগে দেয়া হয়।
লেবাননে জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক জেনিস হেনিস-প্লাচার্ট বলেন, লেবাননজুড়ে বেসামরিক মানুষ ও বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এমন অন্যান্য ঘটনার পর ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
ইসরায়েল বুধবার লেবানন থেকে ৫০টির বেশি প্রজেক্টাইল ছোঁড়ার কথা জানায়। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।