রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের মিকোলাইভ অঞ্চলে আঘাত হানলো

মিকোলাইভে রাশিয়ার আক্রমণের পর একটি স্থানীয় বাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ইউক্রেন, অক্টোবর ১৫,২০২৪।

ইউক্রেনের মিকোলাইভ অঞ্চলের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেন মঙ্গলবার রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র অঞ্চলে কমপক্ষে একজন নিহত ও আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।

মিকোলাইভের গভর্ণর ভাইটালি কিম টেলিগ্রামে বলেন ওই আক্রমণের ফলে একটি স্থাপনার অবকাঠামো, রেস্টুরেন্ট ও বিপণী অঞ্চল এবং সেই সঙ্গে আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলে যে রাতভর রাশিয়ার ওই হামলায় ন’টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয় । তবে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ১২ টি ড্রোন নষ্ট করা হয়।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে যে চেরকাসি, চেরনিহিভ, কিরোভোহ্রাদ, কিয়েভ, মিকোলাইভ . ওদেসা ও পলতাভা অঞ্চলগুলিতে ড্রোনগুলোকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায় তারা বেলগোরোদ , কুরস্ক ও তুলা অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন বিধ্বস্ত করে।

বেলগোরোদের গভর্ণর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকফ বলেন ড্রোন থেকে একটি বিস্ফোরক অস্ত্র ছোঁড়া হলে তা একটি আবাসিক ভবনের উপর আঘাত হানে এবং এক ব্যক্তি আহত হন।

এর আগে সোমবার নেটোর মহাসচিব বলেন যে রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও এই জোট ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

জার্মানির উইসবাদেনে নেটোর ইউক্রেন মিশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্ক রুট বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বার্তাটি হলো, “ যে আমরা অব্যাহত রাখবো, যে আমরা তাই করবো যা এটা নিশ্চত করবে যে তিনি পার পেয়ে যাবেন না । যে ইউক্রেন টিকে থাকবে”।

রুট বলেন নেটো জোট হচ্ছে , “ পৃথিবীর ইতিহাসে সব চেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট যা ১০০ কোটি মানুষের সেবা করে। আমরা যে কোন হুমকি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমরা কখনই আমাদের প্রতিপক্ষের উস্কানিতে অস্থির হবো না”।

সোমবার রুট এই প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের এই মিশন পরিদর্শনে যান। এটি নেটো সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স এন্ড ট্রেইনিং ফর ইউক্রেন নামে পরিচিত, যা পরে ইউক্রেনকে পশ্চিমি সামরিক বাহিনীর সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব নেবে।

সোমবার তাঁর প্রাত্যহিক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলন্সকি বলেন যে ইউক্রেনে অব্যাহত আক্রমণে এই হেমন্ত ও শীতকালে রাশিয়ার অভিপ্সা সম্পর্কে পররাষ্ট্র বিভাগের গোয়েন্দা পরিষেবা ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা “ বেশ বিস্তারিত” প্রতিবেদন দিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে এই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ত হওয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য দেশের , “ যারা কীনা দূর্ভাগ্যবশত এই দীর্ঘ কাল ব্যাপী যুদ্ধে বিনিয়োগ করছে” , তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি সতর্ক করে দিয়েছেন যে “ যারাই রাশিয়াকে সাহায্য করবে আমরা ইউক্রেনকে রক্ষা করতে তাদের কঠোর জবাব দেবো”। তিনি বলেন, “ আমাদের শরিকদের সঙ্গে পারস্পরিক কাজ হবে যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে রাশিয়ার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়”।

এ সপ্তাহে জেলন্সকি আরও বলেন, “ ইউক্রেন এই যুদ্ধের একটি ন্যায়সঙ্গত সমাপ্তি টানতে রাশিয়াকে বাধ্য করতে ইউরোপে আমাদের সকল সহযোগীর সামনে আমাদের কৌশল তুলে ধরবে”। “ ভিক্টরি প্ল্যান” নামের এই কৌশলটি এখনও প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি ও রয়টার্স থেকে পাওয়া ।