বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী, হত্যার ইন্ধনদাতা ও নির্দেশ দাতাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ১ হাজার ৬৯৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অক্টোবর মাসেই ৩ হাজার ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তৎকালীন সরকারি দলের নেতৃস্থানীয় ৭৪ জন রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান।
এতে আরও বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও মামলা, গ্রেপ্তারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও আপামর জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। পুলিশের সেবা হবে হয়রানি মুক্ত, জনবান্ধব। কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় তা বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ওদিকে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, "গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।"