যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল "খুব ভাল" এসেছে এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশের সেবা করার জন্য প্রয়োজনীয় “শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা” আছে তার। শনিবার প্রকাশ পাওয়া এক চিঠিতে এভাবেই কমালার স্বাস্থ্য তথ্যের বর্ণনা দিয়েছেন তার ডাক্তার।
ড. জোশুয়া সিমন্স যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কর্নেল এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তিনি চিঠিতে লেখেন, ৫৯ বছর বয়সী কমালা একটি স্বাস্থ্যকর, সক্রিয় জীবন যাপন করেন এবং এপ্রিলে তার সর্বশেষ শারীরিক পরীক্ষার ফল একই রকম।
দুই পাতার চিঠিতে তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাহী, রাষ্ট্র প্রধান ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা তার (কমালার) আছে।”
হ্যারিসের প্রচারণা দল আশা করছে, এই তথ্য ব্যবহার করে তারা রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান সৃষ্টি করতে পারবে, কেননা তিনি (ট্রাম্প) গত কয়েক বছরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে শুধু সীমিত আকারে তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি কী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার মতো স্বাস্থ্যের অধিকারী কী না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়বস্তুর সংবেদনশীলতার বিচারে নাম না প্রকাশের শর্তে এ কথা জানান প্রচারণা দলের এক সহযোগী।
ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই কম তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমন কী, জুলাই মাসে তাকে হত্যা প্রচেষ্টার সময় কান ঘেঁষে বুলেট চলে যাওয়ার পরও তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
এমন সময় কমালার কার্যালয় থেকে মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে যখন তার প্রচারণা দল ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। ট্রাম্পের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও আগের ইতিহাস নিয়ে তথ্য প্রকাশে ব্যর্থতার বিষয়টিও উল্লেখিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।
যখন ৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন পুনর্নিবাচনের জন্য লড়ছিলেন, তখন খুবই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে তার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। কিন্তু বাইডেনের বদলে কমালা নির্বাচনী টিকিট পাওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যই মানুষের মনোযোগ কেড়েছে।
গত নভেম্বরে ট্রাম্প বাইডেনের জন্মদিন উপলক্ষে তার চিকিৎসকের কাছ থেকে পাওয়া একটি চিঠি প্রকাশ করেন, যেখানে বলা হয় সাবেক প্রেসিডেন্টের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য “খুব ভাল”।
ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত সে চিঠিতে তার দাবি সমর্থন করতে পারে এমন কোনো তথ্য ছিল না, যেমন ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা। এমন কী, কোনো পরীক্ষারও ফলও এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।