সিরিয়ার একাধিক জঙ্গি শিবিরকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযান

সিরিয়ার মানচিত্র

যুক্তরাষ্ট্রের উপর্যুপরি বিমান অভিযানের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট পরিচালিত বিভিন্ন শিবির। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলছে এই অভিযান উগ্রবাদীদের ওই অঞ্চলে এবং বাইরে তাদের হামলাকে ব্যাহত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে এই বিমান অভিযান চালানো হয় শুক্রবার তবে সিরিয়ার ঠিক কোন অংশে এটি চালানো হয়, সেই কথা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৯০০ জন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে আর সেই সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বে সিরিয়ান ডেমক্র্যাটিক ফোর্সেস যারা আই এস ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তত্পর ছিল।

পরাস্ত হবার পরও , ইরাক ও সিরিয়ায় , গত কয়েক বছরে আই এস এর লুকিয়ে থাকা সেলগুলির আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এতে বহু লোক হতাহত হয়েছে।

ইসলামিক স্টেট গ্রুপ তাদের ক্ষমতার শীর্ষে থাকা অবস্থায় অনেক স্থানই দখল করে নেয় এবং ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার একটি বড় অংশে খেলাফত ঘোষণা করে কিন্তু ২০১৭ সালে তারা ইরাকে পরাজিত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে উগ্রবাদীরা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে তাদের শেষ নিয়ন্ত্রিত ভূমিটিও হারায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে যে এই আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যেমন তেমনি গোটা অঞ্চল জুড়ে এবং তার বাইরেও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীটির পরিকল্পনা করা, সংগঠিত হওয়া এবং আক্রমণ পরিচালনা করার সক্ষমতাকে খর্ব করবে।

তিনি বলেন এই লড়াইয়ে ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে এবং এতে কোন বেসামরিক লোকের হতাহত হবার ঘটনা ঘটেনি।

গত মাসে ইরাকের সামরিক বাহিনী বলে যে ইরাকি বাহিনী ও আমেরিকান সৈন্যরা এমন একজন শীর্ষ আইএস কমান্ডারকে হত্যা করেছে যাকে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজছিল। ওই অভিযানে আরও কিছু শীর্ষ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।

যখন আই এস ক্ষমতার শীর্ষে ছিল তখন তারা ব্রিটেনের অর্ধেক অঞ্চলের সমান অঞ্চলে তাদের শাসন চালিয়েছে। তার ইসলামের উগ্র ব্যাখ্যা দিয়েছে যার মধ্যে ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘষ্ঠি গোষ্ঠীগুলির উপর আক্রমণ এবং যে সব মুসলিমকে স্বধর্মত্যাগী বলে মনে করা হতো তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান।