রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিন শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন এমন এক সময়ে যখন তেহরান ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং ইসরায়েল এবং ইরান ও তার জঙ্গিবাদী মিত্রদের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশবাগাতে আন্তর্জাতিক ফোরামের এক পার্শ্ব বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
২০২২ সালে পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর রাশিয়াকে ড্রোন রপ্তানির জন্য মস্কো ও তেহরান ১৭০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং যুক্তরাষ্ট্রও মনে করে যে ইরান স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
এ সপ্তাহে ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভের প্রধান কেন ম্যাককেলাম উভয় দেশকে “বিস্ময়করভাবে” হত্যার প্রচেষ্টা এবং যুক্তরাজ্যের মাটিতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড ও অন্যান্য অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেন। ম্যাককালাম বলেন তার গোয়েন্দারা ২০২২ সাল থেকে ইরান সমর্থিত ২০ টি “ সম্ভাব্য প্রাণনাশী” ষড়যন্ত্র নসাত্ করে দিয়েছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও তীব্র হলে তারা ব্রিটেনে তাদের লক্ষ্য আরও সম্প্রসারিত করতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, েএই দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের সময়ে, পুতিন পেজেশকিয়ানকে বলেন যে আন্তর্জাতিক ঘটনাবলিতে মস্কো ও তেহরানের অবস্থান প্রায় খুব কাছাকাছি । পুতিন ইরানি নেতাকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণও জানান এবং পেজেশেকিয়ান তা গ্রহণ করেছেন বলে তাস জানিয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের শুরুতেই পেজেকশিয়ান বলেন, “ এখন আমাদের অনেক সুযোগ আছে এবং আমাদের এই সম্পর্কে আমাদের পরস্পরকে সাহায্য করা উচিত্। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের নীতি, আমাদের অবস্থান আপনাদের মতই”।
পেজেশকিয়ান বলেন ইসরায়েলের উপর ইসরায়েলের “ নৃশংস হামলাগুলি বর্ণনার বাইরে”। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল বাহিনী পাঠিয়েছে এবং ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সে দেশে বিমান আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্রেমলিনের দেয়া ভিডিও অনুযায়ী শুক্রবার এই ফোরামের সূচনায় , পুতিন বলেন তিনি পশ্চিমকে মোকাবিলা করার জন্য মস্কোর মিত্রদের নিয়ে একটি “ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার” তৈরি করতে চান।
এই সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং কাজাখাস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতারাসহ আঞ্চলিক নেতারা অংশ নিচ্ছেন।