হারিকেন মিলটনের তাণ্ডবের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছেন ফ্লোরিডার বাসিন্দারা। এই হারিকেন উপকূলে আছড়ে পড়ায় ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করেছে এবং চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটিয়েছে।
হারিকেন মিলটনের (যা এখন একটি শক্তিশালী উত্তর-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়) তাণ্ডবে ফ্লোরিডার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে মুষলধারায় বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে এই ঝড়ে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। একাধিক পরিষেবা সংস্থা সতর্ক করেছে, এই বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, “এটি সম্পূর্ণ পুনর্নির্মাণ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে।”
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “এতে বেশ কয়েক কোটি ডলার ব্যয় হতে চলেছে। আপনাদের পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে আমাদের যতদূর ক্ষমতা রয়েছে তার সবটুকু আমরা করব।”
এই ঝড়ের ফলে সারাসোতা কাউন্টির সিয়েস্তা কি-র কাছে বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় পরিমাপের একক অনুযায়ী এটি ছিল ক্যাটেগরি ৩ ঘূর্ণিঝড় এবং এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের কয়েক ঘন্টা আগে আটলান্টিক মহাসাগরে এই ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু সৃষ্টির পূর্বে এটি সারা রাত গোটা রাজ্য চষে বেড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ আকষ্মিক বন্যা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়।
ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে যেখানে ভূমিধস হয়েছে তার কাছের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে রেকর্ড ৪১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অক্টোবরে এই শহরের মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের আটগুণ এই হার।
এই হারিকেন ট্যাম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাসোতা ও ফোর্ট মেয়ার্স শহরেও ঘূর্ণিঝড় প্রকোপ বৃদ্ধি করেছে।
ট্যাম্পা শহরের মেয়র জেন ক্যাস্টর বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, যেমনটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ততটা বৃহৎ ও শক্তিশালী ছিল না ট্যাম্পার ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ।
জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, কমপক্ষে ১২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে যার অনেকগুলিই অস্থায়ী বা চলমান ঘর।