ঘূর্ণিঝড় মিল্টন বুধবার রাতে টাম্পার দক্ষিণে ফ্লোরিডার উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। এর ফলে এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং রাজ্যের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে প্রাণঘাতী ঝড়, প্রচণ্ড বেগে বায়ুপ্রবাহ এবং বন্যা সৃষ্টিকারী বৃষ্টি আঘাত হানে।
মায়ামি-ভিত্তিক ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, মিল্টন যখন সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কী-এর কাছে ল্যান্ডফল করে, তখন এটি ছিল একটি ক্যাটাগরি ৩ হারিকেন, যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার।
মিল্টন টাম্পার ১০৮ কিলোমিটার দক্ষিণে আঘাত করেছিল, কিন্তু ঘূর্ণিঝড়-এর ফলে জলোচ্ছ্বাসের কারণে ফ্লোরিডার টাম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাসোটা এবং ফোর্ট মায়ার্স প্লাবিত হয়।
৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ফ্লোরিডা উপদ্বীপের প্রায় সমগ্র পশ্চিম উপকূলে বুধবার ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি ছিল।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট করেছে, সারাসোটা এবং মানাটি কাউন্টিতে ১ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ থেকে ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনই, এখনই সবাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।’ হোয়াইট হাউস জানায়, মিল্টনের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া তদারকির জন্য প্রেসিডেন্ট চলতি সপ্তাহে জার্মানি ও অ্যাঙ্গোলায় যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস মঙ্গলবার বলেন, মিল্টনের আঘাত সম্ভবত ‘ভয়াবহ’ হবে। তিনি ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের আবহাওয়া পুর্বাভাসকারীদের প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিতে এবং স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়ার আদেশ মেনে চলা আহ্বান জানান।