যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ফ্লোরিডায় ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়ো বাতাস ও প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতার মধ্যে বুধবার শক্তিশালী হারিকেন মিল্টন আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়টির কেন্দ্র বুধবার শেষের দিকে বা বৃহস্পতিবার ভোরে ফ্লোরিডার পশ্চিম-মধ্য উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ট্যাম্পা বে। এটি ৩৩ লাখ মানুষের একটি শহর যেখানে ২০২১ সালের পর থেকে হারিকেন সরাসরি আঘাত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, ফ্লোরিডার পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের জন্য সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হারিকেনের রেকর্ড গড়তে পারে মিল্টন।
ঝড়ের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের অংশ হলো জলোচ্ছ্বাস। মূলত ঝড়ের শক্তিশালী বাতাসের কারণে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র জানায়, যেসব এলাকায় ঝড়ের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি সেখানে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা ৩ থেকে ৪ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বুধবার ফ্লোরিডা উপদ্বীপের প্রায় পুরো পশ্চিম উপকূলে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার, যা এটিকে লেভেল ফাইভের সাফির-সিম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি ৫ ঝড়ে পরিণত করেছে। এই মাত্রার ঝড়ের ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও ঘড়বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনই, এখনই সবাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।’ হোয়াইট হাউস জানায়, মিল্টনের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া তদারকির জন্য প্রেসিডেন্ট চলতি সপ্তাহে জার্মানি ও অ্যাঙ্গোলায় যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস মঙ্গলবার বলেন, মিল্টনের আঘাত সম্ভবত ‘ভয়াবহ’ হবে। তিনি ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের আবহাওয়া পুর্বাভাসকারীদের প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিতে এবং স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়ার আদেশ মেনে চলা আহ্বান জানান।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এপি এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।