মেশিন লার্নিং নির্মাণে সহায়তা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুই পথিকৃৎ জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রে হিন্টন মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের কাজ এবং জীবনযাত্রায় বিপ্লব ঘটাচ্ছে কিন্তু মানবতার জন্য নতুন হুমকিও তৈরি করছে।
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত হিন্টন কানাডা ও ব্রিটেনের নাগরিক।তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোতে কর্মরত। হপফিল্ড প্রিন্সটনে কর্মরত একজন আমেরিকান।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের নোবেল কমিটির সদস্য এলেন মুনস বলেন, দুই বিজয়ী “পরিসংখ্যান পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক ধারণাগুলো ব্যবহার করে কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ডিজাইন করেছেন যা সহযোগী স্মৃতি হিসেবে কাজ করে এবং ডেটা সেটগুলোতে নিদর্শন খুঁজে পায়।”
হিন্টন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এআই সভ্যতার ওপর “বিশাল প্রভাব” ফেলবে, উৎপাদনশীলতা এবং স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি আনবে।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের সাথে খোলাখুলি আলাপে তিনি বলেন, “এটি শিল্প বিপ্লবের সাথে তুলনীয়।”
মেশিন লার্নিং এবং এআইয়ের পেছনকার বিজ্ঞানকে সম্মানিত করা নোবেল কমিটিও এর সম্ভাব্য উলটো দিক সম্পর্কে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে। মুন বলেন, “যদিও এর প্রচুর সুবিধা রয়েছে, তবে এর দ্রুত বিকাশ আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। সম্মিলিতভাবে মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ উপকারের জন্য এই নতুন প্রযুক্তিটি নিরাপদ ও নৈতিক উপায়ে ব্যবহার করার জন্য মানুষ দায়বদ্ধ।”
হিন্টনও একই উদ্বেগের কথা জানান। তিনি গুগলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে তিনি যে প্রযুক্তিটি তৈরি করতে সহায়তা করেছিলেন তার বিপদ সম্পর্কে আরও অবাধে কথা বলতে পারেন।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত।
ফোনে নোবেল কমিটি তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি অভিভূত। আমি জানতাম না এমনটা হবে।”
হপফিল্ডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।