আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান। ৮ অক্টোবর, ২০২৪।

জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।

তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখনও কাজে ফিরে আসেননি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, "কিছু কর্মকর্তা হয়তো পালিয়ে গেছেন। আমাদের ধারণা কিছু কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।"

তিনি এই কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।

হাসান বলেন, "আমরা আশা করি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। যদিও আমরা তাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবুও আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

ডিএমপি কমিশনার হাসান ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন, যার ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আরও মামলা ঝুলে আছে।

১,৯০,০০০ হাজার সদস্য সম্বলিত বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে এবং তার প্রভাব দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১৭ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তবর্তী সরকার। দেশের সামরিক বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই ক্ষমতা পেয়েছেন।

পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান স্বীকার করেন, সাময়িক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তবে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুলিশি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দেন পুলিশ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশেষত দুর্গাপূজা উৎসবের আগে, পরিষেবায় কোনো বিঘ্ন ছাড়াই।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ১ অক্টোবর বলেছেন, পুলিশের যেসব সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেননি তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, "এছাড়া এখনও কাজে যোগদান না করা পুলিশ সদস্যদের আমরা পুলিশ বলব না। তাদের অপরাধী (ক্রিমিনাল) বলব।"

কতজন পুলিশ এখনও কাজে যোগ দেয়নি, জানতে চাইলে সেসময় উপদেষ্টা বলেন, "১৮৭ জনের মতো ছিল। এর পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যারা যোগ দেননি, তাদের আমরা অপরাধী হিসেবে গণ্য করব।"

(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)