গাজা যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীতে হামাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা

ফাইল ছবি - ওয়াশিংটনে ট্রেজারী ভবন, ৬ জুন, ২০১৯।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র হামাসের একটি আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ঐ নেটওয়ার্ক হামাসের জন্য বহিঃবিশ্বে তহবিল সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তির দিনে এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারী বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তিন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা একটি 'ভুয়া চ্যারিটি' চালায় যা হামাসের প্রধান আন্তর্জাতিক সমর্থকদের একটি। তারা গাজার আল ইনতাজ ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও হামাসের দীর্ঘদিনের সমর্থক তুরস্কে বসবাসরত এক ইয়েমেনি নাগরিক এবং তার নয়টি ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানায় ট্রেজারী বিভাগ।

ট্রেজারী সেক্রেটারী জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, হামাসের সন্ত্রাসী হামলার এক বছর পূর্তিতে ট্রেজারী বিভাগ নিরলসভাবে হামাসের সক্ষমতা হ্রাস এবং ইরানের প্রক্সিদের সন্ত্রাসী হামলায় অর্থায়ন ঠেকাতে কাজ করে যাবে।

গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলী শহর এবং কিবুটজ গ্রামগুলোতে এক বছর আগে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের হিসেব অনুযায়ী হামাস জঙ্গিরা ১২শ লোককে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে।

জবাবে ইসরায়েল গাজায় সেনা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং সেখানে বহু বাড়িঘর ধ্বংস করেছে বলে জানায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ট্রেজারী বিভাগ বলছে, হামাস গাজার মানুষের দুর্ভোগকে ব্যবহার করে তাদের সাহায্য করার নামে ভুয়া সংগঠনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছে, তারা প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ করে থাকতে পারে। হামাস ইউরোপকে তাদের তহবিল সংগ্রহের একটি প্রধান উৎস হিসেবে দেখে।

ট্রেজারী বলছে, ইতালি ভিত্তিক এক হামাস সদস্যকেও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য করা হয়েছে, সে ভুয়া চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ সলিডারিটি উইথ দ্য প্যালিস্টিনিয়ান পিপল গঠন করেছে এবং হামাসের সামরিক শাখাকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতেও হামাসের দুই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।