চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দু'জন গবেষক

নোবেল কমিটির সেক্রেটারি-জেনারেল থমাস পার্লম্যান স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের এই বছরের ফিজিওলোজি বা মেডিসিনে বিজয়ী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুমের একটি ছবির সামনে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন। ফটোঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন ‘মাইক্রোআরএনএ’ আবিষ্কারের জন্য এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। মাইক্রোআরএনএ হলো জেনেটিক উপাদানগুলোর ক্ষুদ্র টুকরো যা সেলুলার স্তরে জিনগুলো কীভাবে কাজ করে তা পরিবর্তন করে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার নতুন উপায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে।

ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি, যারা পুরস্কার প্রদান করেছে, তারা বলেছে, জীবের বিকাশ ও কার্যকারিতা বোঝার ক্ষেত্রে এই দুজনের আবিষ্কার ‘মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হচ্ছে’।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অনকোলজির প্রভাষক ড. ক্লেয়ার ফ্লেচারের মতে, মাইক্রোআরএনএ সেলুলার স্তরে জিনগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্মুক্ত করেছে।

ফ্লেচার বলেন, মাইক্রোআরএনএ কোষকে নতুন প্রোটিন তৈরি করতে বলার জন্য জেনেটিক নির্দেশনা সরবরাহ করে এবং দুটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে মাইক্রোআরএনএ সহায়ক হতে পারেঃ রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি এবং বায়োমার্কার হিসেবে কাজ করা।

“মাইক্রোআরএনএ কোষের জিনগুলো কীভাবে কাজ করে তা পরিবর্তন করে,” বলেন ফ্লেচার, যিনি নোবেল পুরস্কারের সাথে যুক্ত নন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা

অ্যামব্রোস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গবেষণা সম্পন্ন করেন সেটা পুরস্কার নিশ্চিত করে। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক।

নোবেল কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল থমাস পার্লম্যান বলেন, রুভকুনের গবেষণাটি ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে করা হয়েছিল। তিনি সেখানকার জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক।

পার্লম্যান বলেন, ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে তিনি রুভকুনের সাথে ফোনে কথা বলেন।

পার্লম্যান বলেন, “ফোন ধরতে তার অনেক সময় লেগেছিল, তাকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। কিন্তু যখন তিনি ঘটনা বুঝতে পারলেন, তখন তাকে বেশ উত্তেজিত এবং খুশি মনে হচ্ছিলো।”

গত বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন হাঙ্গেরি-আমেরিকান কাতালিন কারিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েজম্যান। তাদের আবিষ্কার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা মহামারীর বিস্তার কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।