পাকিস্তানঃ বিরোধী দলের মিছিল রুখতে রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা, সেলফোন যোগাযোগ স্থগিত

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান। ফটোঃ ৪ অক্টোবর, ২০২৪।

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের মিছিল আটকাতে শুক্রবার সে দেশের রাজধানী ইসলামাবাদের ভিতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তাগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মালবাহী কন্টেইনার দিয়ে রাজধানীমুখী মহাসড়ক ও অন্যান্য রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সেলফোন পরিষেবা, গণ পরিবহন বাতিল করেছে। একাধিক স্কুলও বন্ধ করা হয়েছে।

প্রবেশ ও প্রস্থান পথে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সরকার ইসলামাবাদে জনসমাবেশের উপর সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।

একই রকম নিরাপত্তাগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজধানীর সংলগ্ন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান কার্যালয় রয়েছে এই শহরে।

ইমরান খান তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ জানানোর জন্য গোটা দেশ থেকে ডি-চকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনে কারচুপি এবং বিতর্কিত সাংবিধানিক সংশোধন চালু করতে সরকারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, এই ডি-চক সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে অবস্থিত।

সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের জোট সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই ধারাবাহিকভাবে যে মিছিল করে আসছে শুক্রবারের এই বিক্ষোভ এরই সর্বশেষ সংস্করণ। ৭১ বছর বয়সী খান দাবি করেছেন, সংবিধান সংশোধন করার নৈতিক বা আইনি ক্ষমতা শাসক জোটের নেই।

শুক্রবার রাজধানীতে নারীসহ বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীকে ঘেরাও করে রাখতে দেখা গেছে পুলিশকে। এই কর্মীরা বিক্ষোভস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।

অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি পিটিআই সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা যেন ইসলামাবাদে মিছিল ও সভা আয়োজন না করে।

বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “কেউ ধরা পড়লে তার প্রতি নমনীয়তা দেখানো হবে না এবং পরে কেউ যেন অভিযোগ না করে।”

বিরোধীদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করে নকভি বলেছেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম রাজধানীতে রয়েছেন এবং ১৫-১৬ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে চলা সাংহাই কোঅপারশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, এসসিও সমাবেশের আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর আসার কথা রয়েছে। তার কথায়, এমন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের আগে সরকার “কোনও রকম বিশৃঙ্খলার অনুমতি দিতে পারে না।” অন্য কোনও দিনে মিছিল করার জন্য খানের দলকে তিনি অনুরোধ করেছেন।