আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন পেয়েছেন

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অভিযুক্তরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এ মামলায় সাক্ষ্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন।

সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে দেশে ফেরেন মাহমুদুর রহমান।

মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১২৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মাহমুদুর রহমানকে ২০১০ সালের জুনে প্রথম এবং ২০১৩ সালের এপ্রিলে আবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল।