‘এশিয়ান নেটো’ ভবিষ্যতের জন্য একটি আইডিয়া, বলছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি—জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া (১ অক্টোবর, ২০২৪)

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি “এশিয়ান নেটো” গঠনের বিষয়ে তার অভিমত প্রকাশ করেছেন। বুধবার দেশটির নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া এই বিষয়টিকে শিগগির বাস্তবায়নযোগ্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা হিসাবে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছেন শিগেরু ইশিবা । তার এই আহ্বানে এশিয়ার দেশগুলো সংশয়মূলক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

টোকিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইওয়াইয়া ব্যাখ্যা দেন, “আমার ধারণা, সমমনা দেশগুলোর বহুস্তরবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক তৈরি ও বাইরের শক্তির কাছ থেকে আসা সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করার আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার এই চিন্তাটি ভবিষ্যতের জন্য।”

সেপ্টেম্বরে হাডসন ইনস্টিটিউট থিংক ট্যাংকের এক গবেষণাপত্রে ইশিবা যুক্তি দেন, ওয়াশিংটনকে পাশে রেখে একটি “এশীয় নেটো” গঠন করা হলে এশিয়ায় সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনে বিরত হবে চীন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ইওয়াইয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চীনকে মাথায় রেখে এ ধরনের অবকাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে কী না। জবাবে তিনি বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে এটি গঠন করা হবে না।

ইওয়াইয়া বলেন, “সবচেয়ে ভালো উপায় হবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি করা, যা কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে বাদ না রেখেই সম্পূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর থাকবে।”

জাপানের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইশিবা এখনো তার মন্ত্রণালয়কে এশিয়ায় নেটোর সমতুল্য কোনো সংগঠন সৃষ্টির প্রস্তাব তৈরি করতে বলেননি।