দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা লড়াইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত সামনের সারির শহর ভুহলেদার থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী সরে যাচ্ছে, ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা বুধবার জানান।
ভুহলেদার শহর ধরে রাখার জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রাণপণে লড়াই করেছিল। এটি রুশদের হাতে পড়া সর্বসাম্প্রতিক নগর বসতি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করছে এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ধীরে ধীরে পূর্ব ডনেটস্ক প্রদেশের বাইরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
পূর্ব ফ্রন্ট বরাবর মারাত্মক রক্তক্ষয়ী গ্রীষ্মকালীন অভিযানের পর দেখা গেছে, কিয়েভ কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার (বর্গমাইল) অঞ্চল ছেড়ে দিয়েছে। রাশিয়ান সেনাবাহিনী পশ্চিম দিকে অভিযান চালিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র, গ্লাইড বোমা, আর্টিলারি এবং ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করে শহর ও গ্রামগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
ডনেটস্কসহ পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের খোরতিৎসিয়া স্থল বাহিনী সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সামরিক কর্মী ও সরঞ্জাম রক্ষা করার জন্য’ ভুহলেদার থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “যেকোনো মূল্যে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রয়াসে (রাশিয়ান) রিজার্ভ বাহিনীকে দু'পাশ থেকে আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, যা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলোর প্রতিরক্ষাকে ক্লান্ত করে দেয়। শত্রুদের কর্মকাণ্ডের ফলে শহরটি ঘেরাও হয়ে যাওয়ার হুমকিতে ছিল।”
দুটি প্রধান রাস্তার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত শহরটির কৌশলগত তাৎপর্য দুই প্রকার। ব্যাপক উচ্চতা এবং রেলপথের নিকটে হওয়ায় এটি মস্কোর জন্য তাদের নিজস্ব লজিস্টিক রুটগুলোর জন্য আরও সুরক্ষা এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং দক্ষিণে সরবরাহ লাইনের জন্য আরও ভালো সুবিধাজনক পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এর দখল মস্কোর জন্য আরেকটি সাফল্যের প্রতীক, যা তাদের পোকরোভস্কের মূল সরবরাহ কেন্দ্রের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।