খাগড়াছড়িতে শিক্ষক হত্যার পর সংঘর্ষ তদন্ত করতে কমিটি গঠন 

ফাইল ফটোঃ সেপ্টেম্বর মাসে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে বাঙালি ও পাহাড়িদের মাঝে সংঘর্ষ হয়।

খাগড়াছড়ি সদরে গণপিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনার পরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২রা অক্টোবর) ভয়েস অফ আমেরিকার কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান।

একই সঙ্গে তিনি জানিয়ছেন এই পার্বত্য জেলায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

"আজ (বুধবার) আমরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছি। তুলনামূলক শান্ত হয়েছে শহর। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কেন এই সংঘাত এসব নির্ণয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে", ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক।

প্রতিবেদন দাখিল করতে এই তদন্ত কমিটিকে ৫ কর্মদিবস দেয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার পরে এই জেলা শহরের পাহাড়ি ও বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় বলে জানাচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

নিহত স্কুল শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে এই জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, যা বুধবার সন্ধ্যায় তুলে নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) একটি মোটরসাইকেল চুড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মোঃ মামুন নামে এক বাঙ্গালি যুবক নিহত হবার পর বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতায় অন্তত চারজন পাহাড়ি নিহত হয়।