লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানের ওপর ‘সীমিত’ অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ক্ষতিগ্রস্ত দালানের তথ্য সংগ্রহ করছেন এক ব্যক্তি (১ অক্টোবর, ২০২৪)

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত আকারে হিজবুল্লাহর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

ইসরায়েল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে “ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত (ইসরায়েলি) জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক হুমকি” সৃষ্টি করছে এমন “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু নির্মূলে স্থল অভিযান” চালাচ্ছে।

স্থানীয় সময় দিবাগত রাত দুইটায় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, “রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সিভিল ডিফেন্স ফোর্স কয়েক ঘণ্টা আগে সীমিত আকারে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হেজবোল্লাহর জঙ্গি লক্ষবস্তুর ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করেছে।”

ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, সামরিক বাহিনী “জেনারেল স্টাফ ও নর্দার্ন কমান্ডের তৈরি করা নিয়মতান্ত্রিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানের জন্য সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর সেনারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়েছে।”

সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ছোট আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে এবং উত্তরাঞ্চলের তিন লোকালয়কে “রুদ্ধ সামরিক জোন” হিসেবে অভিহিত করেছে। এই উদ্যোগ এটাই বলছে যে শিগগির লেবাননে ইরানের মদদপুষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে আরও সেনা পাঠানো হতে পারে।

পেন্টাগন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্ট “(ইসরায়েল-লেবানন) সীমান্তে (হিজবুল্লাহর) সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।” সোমবার গভীর রাতে দুইজন টেলিফোন কলে কথা বলার সময় এ বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে এসব অভিযানের বিষয়ে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এগুলোকে “সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে সীমিত আকারের অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

এখন পর্যন্ত লেবাননের মাটিতে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের সরাসরি সংঘাতের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ এই দুই শত্রু ২০০৬ সালে একে অপরের বিরুদ্ধে মাসব্যাপী স্থলযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।